
চট্টগ্রামের দুই শিল্পপতিকে ঋণ দিয়ে ৭৫ কোটি টাকা নেওয়ার মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ছয়জন। সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক ও ইব্রাহিম খলিলের আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষীরা হলেন– এইচএম শিপ ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সরোয়ার আলম, ইউসিবিএল ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আমান উল্লাহ, আগ্রাবাদ শাখার সাবেক ক্যাশ অফিসার যথাক্রমে নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, শওকত হোসেন চৌধুরী ও মোহাম্মদ ফরিদুল আলম এবং জনৈক নুর মোহাম্মদ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মোকারম হোসেন বলেন, দুদকের দুই মামলায় আসামি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছেন সাক্ষীরা। শেষে তাদের নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে জাবেদ ঋণ দেওয়া এবং সহায়তার মাধ্যমে ঘুষ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। টাকা নগদায়ন করে বিদেশে পাচারের কথা বলেছেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর দুই শিল্পপতির কাছ থেকে ৭৫ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মামলা দুটি করে দুদক। দুদক বলছে, মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুই শিল্পপতিকে চাপ দিয়ে নিজ মালিকানাধীন ইউসিবিএল থেকে ৭৫ কোটি টাকা ঋণ নিতে বাধ্য করেন জাবেদ। দুই শিল্পপতি হলেন সীতাকুণ্ডের এইচএম শিপ ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি সরোয়ার আলম এবং কালুরঘাটের ওয়েলমার্ট লিমিটেডের এমডি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। পরে সেই টাকা তাদের কাছ থেকে নিয়ে পারিবারিক শিল্পগোষ্ঠী আরামিট গ্রুপের একাধিক কর্মকর্তার নামে ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে সে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করেন। এর পর সেই টাকা বিদেশে পাচার করেন।
এইচএম শিপ ব্রেকিংয়ের এমডি সরোয়ার আলমের কাছে ৫৫ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার মামলায় জাবেদ ছাড়াও ইউসিবিএলের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। ওয়েলমার্ট লিমিটেডের এমডি সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ২০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার মামলায় জাবেদ ও তাঁর স্ত্রী রুকমিলাসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।