Image description
 

গণঅভ্যুত্থানের সময় ৪৮ জেলায় ৪৩৫টি স্পটে পুলিশ ও যুবলীগ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলায় সোমবার (১৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশে ব্যাপক মাত্রায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ হওয়ার জন্য বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে আক্রমণ হওয়ার শর্ত রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৪৮টি জেলায় ৪৩৫টি স্পটে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগ সশস্ত্র হামলা চালিয়ে হত্যা করে এবং পুলিশ বাহিনী গুলি চালিয়ে নারী, শিশু, তরুণ ও সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে।

তিনি আরো বলেন, হাসিনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। তিনি নিরঙ্কুশ ক্ষমতা চান। তিনি ও তার পরিবারকে দেবতার আসনে বসাবেন। আমি উন্নয়ন করতে চাই। প্রতিপক্ষকে রাখবো না। এটা তার রাজনৈতিক ও আদর্শিক উদ্দশ্যে। বাংলাদেশে কথিত স্বাধীনতাবিরোধী থাকবে না, প্রতিপক্ষ থাকবে না। শুধু শেখ মুজিবুর রহমানের পূজা হবে, বন্দনা হবে। একদলীয় শাসন হবে। মায়ের, বাপের নামে প্রতিষ্ঠান হবে। তার দাবি, দেশটা তো আমার বাপের, বাপ স্বাধীন করেছে।' এগুলো ছিল স্বৈরতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় থাকার উদ্দেশ্য।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বিপুল সংখ্যক আসামি অপরাধী এই আক্রমণে অংশগ্রহণ করেছিল। যারা আহত এবং নিহত হয়েছেন তাদের সংখ্যাও বিপুল পরিমাণে। এই অপরাধগুলো বিচ্ছিন্নভাবে ঘটেনি। বরং পরিকল্পিতভাবে, ব্যাপক ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় একই ধরনের অপরাধ বারবার করা হয়েছে। একই পদ্ধতিতে করা হয়েছে। এটাকে বলা যায় ব্যাপকভাবে বিস্তৃত এবং সারাদেশে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ১৪শর বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন।

শীর্ষনিউজ