
Tanzil Rahman(তানজিল রহমান)
এনসিপিকে জনসম্পৃক্ত রাজনীতি দাড় করাতে হলে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করার এবং অন্যদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে। কোরামবাজি করলে বা নিজেদের মধ্যেই সব কৃতিত্ব রাখতে চাইলে এদের সাথে কেউ কাজ করার আগ্রহ পাবে না।
কালকে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের ব্যানারে বুয়েট সংলগ্ন পলাশি মোড়ে আবরারের বাবাকে দিয়ে আগ্রাসন বিরোধী আটস্তম্ভের উদ্বোধনের আয়োজন করেছে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এই স্তম্ভের পিছনে আখতারের পরিশ্রম এবং সাহসিক প্রচেষ্টা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। ফ্যাসিস্ট আমলেই ঝুঁকি নিয়ে আখতার এই আটস্তম্ভ তৈরি করেছিলো, পরের দিন ভেঙ্গেও দিয়েছিলো হাসিনার বাহিনী।
গত বছর আবরার ফাহাদের শাহাদাত বার্ষিকীতে আট স্তম্ভ নির্মান কাজ আবার শুরু করার সময় থেকে ওয়ালিউল্লাহ, মুয়াজ, সম্রাটসহ বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও এলাম্নাই যুক্ত ছিলো। গতবছর আটস্তম্ভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন, বুয়েটের ৪ জন আর্কিটেক্ট থেকে ডিজাইন করিয়ে আর্কিটেক্ট নাঈম ভাইয়ের ডিজাইন ফাইনাল করা, ডিজাইনে পলাশি মোড়ের ভিজিবিলিটি নষ্ট হয়ে যেনো যান চলাচল বাধাগ্রস্ত না হয় সেটা একোমোডেট করাসহ পুরো প্রক্রিয়ায় এরা জড়িত ছিলো।
ওদের দাবী ছিলো- আবরার যেহেতু বুয়েটের শিক্ষার্থী ছিলো, আবরার ফাহাদের শাহাদাতের পরবর্তী বিচারের দাবীতে আন্দোলনে বুয়েটের যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলো তাদের মধ্য থেকে আগ্রহীদের অন্তর্ভুক্ত করে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের একটা কমিটি দেওয়া।
আখতার এই এক বছর ধরে শুধু কমিটি দেওয়া নিয়ে ঘুরিয়েছে এমনটাই না, কালকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এদের কাউকে জানায় নি, এমন কি আর্কিটেক্ট নাঈম ভাই বিনা পারিশ্রমিকে এত চমৎকার একটা ডিজাইন করে দিলো তাকেও একবার সৌজন্য করে দাওয়াত দেয় নি। এত ইনসিকিউরিটি নিয়ে রাজনীতি করবে কিভাবে এরা জানি না।
আমি একেবারে মন থেকেই বিএনপি জামায়াতকে ব্যালান্স করার জন্য জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তি হিসেবে এনসিপির রাজনীতি দাড়াক এমনটা চাইতাম।
কিন্তু এমন ছোট মানসিকতা হলে এদের সাথে রাজনীতিতে কেউ থাকবে?
(আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভের বিষয়গুলো হলো—সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি ও নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদা।)