
গাজায় আগ্রাসনের খবর প্রচার করতে গিয়ে গত ২ বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭০ জনের বেশি সাংবাদিক। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ১৩ জন পেশাগত কারণে নিহত হয়েছেন। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট বা সিবিজের পরিসংখ্যান থেকে এ খবর জানা গেছে।
সাংবাদিকদের ওপর সর্বশেষ নৃশংসতার ঘটনা ঘটে গত আগস্টে। খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে সংঘটিত ওই হামলায় মোট ২১ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন আল জাজিরার মোহাম্মদ সালামা, রয়টার্সের হুসসাম আল মাসরি, এপির ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মরিয়ম আবু দাকা এবং ফটোগ্রাফার আহমেদ আবু আজিজ, মুয়াজ আবু ত্বাহা।
এর আগে গাজার আল শিফা হাসপাতালের বাইরে সংবাদমাধ্যমের এক তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছিলেন আল জাজিরার তরুণ সাংবাদিক আনাস আল শরিফ, মুহাম্মদ কুরাইকে, ইব্রাহিম জাহের ও মোহাম্মদ নোফার।
এ পর্যন্ত কেবল আল জাজিরার ১০ জনের বেশি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকে কৌশলগত প্রয়োজন দাবি করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের অনেকেই হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। কিন্তু সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো তাদের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সর্বশেষ আল নাসেরের হামলার যৌক্তিকতা জাহির করতে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, সেখানে ক্যামেরা দিয়ে আইডিএফের ওপর নজরদারি করছিল হামাস। তাদের হামলার লক্ষ্য কেবল সেটি হলেও, ‘দুঃখজনকভাবে’ সাংবাদিকরাও প্রাণ হারিয়েছেন।
তবে এসব বক্তব্যকে খারিজ করে দিয়ে রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্স বলেছেন, সাংবাদিকরা তাদের মিডিয়ার যথাযথ লোগো বহনের পরও টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক গাজা যুদ্ধেই যত সংখ্যক সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন, মার্কিন গৃহযুদ্ধ, দুটো বিশ্বযুদ্ধ, কোরীয় ও ভিয়েতনামের যুদ্ধেও তা দেখা যায়নি।