Image description
আছে সংশয় সন্দেহ মতভেদ

রাজনীতি ঘিরে সংশয়, সন্দেহ, কখনো মতভেদ থেকে জোরালো মতবিরোধ। থেমে নেই কথার লড়াই। আন্দোলন-সংগ্রামে এক সময়ের সহযাত্রী-বন্ধু এখন প্রবল প্রতিপক্ষ। এর মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তি যখন অন্যতম প্রতিপক্ষ-তখন প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে আছড়ে পড়ে নানা শঙ্কার হাতছানি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা খবর-বেখবরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে বিশ্বাসের ভিত নাড়িয়ে দেয়। যাদের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ মানুষ আমলে নিতে চায় তারাও মাঝেমধ্যে হা-হুতাশের হাইপ তোলেন। ফলে শেষ মুহূর্তেও নাকি নির্বাচন বানচাল হয়ে যেতে পারে-এমন শঙ্কা অনেকের মধ্যে বদ্ধমূল হতে শুরু করেছে। তবে মাঠের বাস্তবতা একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি বিপরীতে। মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় উজ্জীবিত আমজনতা চায় মুক্তি, সব অপশক্তি ও দুর্বৃত্তায়নের শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত হতে। সেজন্য তাদের লক্ষ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কোটি কোটি জেন-জির প্রবল শক্তিসহ তরুণ ও সাধারণ ভোটাররা যে কোনো মূল্যে ভোট দিতেই চায়। এজন্য সব শঙ্কা গুঁড়িয়ে দিয়ে, গুজব ছাপিয়ে নির্বাচনের পথেই হাঁটছে দেশ।

এই যখন অবস্থা তখন সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। যাদের মনোনয়ন এখনো নিশ্চিত হয়নি, তারাও জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিতে মরিয়া। কোনো কোনো দল ভেতরে ভেতরে প্রার্থী বাছাই এক রকম চূড়ান্ত করে ফেলেছে। কোনো কোনো দল প্রার্থীর নাম ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে ঘোষণাও দিয়েছে। বিএনপি এখনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে নির্বাচনি এলাকায় অনেকে আসল প্রার্থীর নাম নিশ্চিত হতে উদগ্রীব। দলটির পক্ষ থেকে শিগগির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, রাজপথে দাবি-দাওয়া নিয়ে নিজেদের মধ্যে যতই বাহাস চলুক না কেন সব ছাপিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এখন পুরোদমে নির্বাচনমুখী। ভোটযুদ্ধে জয়ী হতে প্রার্থী বাছাইসহ যে যার মতো করে রণকৌশল সাজাচ্ছে। চলছে নিয়মিত গণসংযোগ, পথসভা ও সভা-সমাবেশ। প্রায় সব আসনেই এলাকাবাসীকে ‘শুভেচ্ছা’ ও ‘সালাম’ জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার লাগিয়েছেন বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দেশের মোট ভোটারের অর্ধেকই নারী। ফলে নারী ভোটারদের মন জয় করতেও রাজনৈতিক দলগুলো নিয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। এর বাইরে তরুণ এবং নতুন ভোটারদের কাছে টানতে আয়োজনের কোনো কমতি নেই তাদের।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সরকারি তরফে এমন সিদ্ধান্ত এখন চূড়ান্ত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দেওয়ার ফাঁকে জেটিওর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মেহদি হাসানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জনগণের বিভিন্ন ধরনের মতামত আছে। কিন্তু আমরা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলেও জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টা এর আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এবং বিভিন্ন বক্তব্যে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে রাজনৈতিক দলসহ সবাইকে আশ্বস্ত করেন। নির্বাচন কমিশনও সে অনুযায়ী যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সীমানা নির্ধারণসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য ‘নির্বাচনই একমাত্র পথ’। বিষয়টি মাথায় রেখে ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরেও। যে যার মতো করে নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া, সংসদ নির্বাচনে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি, একই সঙ্গে নির্বাচন ও গণভোট-গুরুত্বপূর্ণ এই তিন ইস্যুতে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে বাহাস। বলা চলে মুখোমুখি তারা। বিষয়টি গড়িয়েছে রাজপথেও। পিআর ও জুলাই সনদ-মোটা দাগে এই দুটি বিষয়ে রাজপথে এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে কথা বলছে। যদিও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে রোববার ঐকমত্যে পৌঁছেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ এখনো রয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন বিষয়ে নানা মতবিরোধ সত্ত্বেও আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে দলগুলো একমত। এ বিষয়ে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ দেশের বড়-ছোট-মাঝারি-ডান-বাম-মধ্যপন্থা-ইসলামি এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে এক ধরনের ঐক্য এখন দৃশ্যমান। বিশেষ করে এবারের দুর্গাপূজায় অনুদান দেওয়াসহ স্থানীয় মণ্ডপে-মণ্ডপে গিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে সংখ্যালঘুদের কাছে টানার চেষ্টাও করেন তারা।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান রোববার যুগান্তরকে বলেন, সারা দেশে এখন নির্বাচনি আমেজ বইছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটছেন নির্বাচনি এলাকায়। ভোটাররাও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্ম-যারা গত ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি, তারা ভোট দিতে উদগ্রীব। মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কখন ভোট দেবে, মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করবে এবং সত্যিকারের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ প্রসঙ্গে রোববার যুগান্তরকে বলেন, এখনো নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়নি। তফশিল ঘোষণার পরপরই দেশে ভোট উৎসব শুরু হয়ে যাবে। তবে ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক দলগুলো বসে নেই। যে যার মতো করে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী বরাবরই নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। আমরাও প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ করেছি। প্রার্থীদের কাজ করতে বলেছি। তারা যার যার এলাকায় কাজ করছেন। ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চাই, তা তারা ভোটারদের মাঝে তুলে ধরছেন। তিনি আরও বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এবং সংসদ নির্বাচনে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির বিষয়ে দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে এবং নির্বাচনমুখী হতে হবে। এজন্য সরকার, ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলকে কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণে এগোতে হবে।

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু রোববার যুগান্তরকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আপাতদৃষ্টিতে নানারকম মতপার্থক্য দেখা গেলেও নির্বাচনের প্রস্তুতিগত কাজ কারোরই থেমে নেই। নির্বাচনি এলাকাগুলোতে স্ব স্ব দলীয় প্রার্থীদের পোস্টার, মিছিল, গণসংযোগ পুরোমাত্রায় চলমান। যদিও জনগণের মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তা হলো ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে তো? এই সংশয়-সন্দেহের অন্যতম কারণ হলো কতিপয় দল কিছু দাবিতে আন্দোলন করছে এবং কখনো কখনো তাদের দাবি পূরণ না হলে নির্বাচন বর্জন করার কথাও বলছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। নানা কারণে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সরকারের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হবে বলে আমার ধারণা।

জানা গেছে, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি জোরালোভাবে নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করেছে। ৩০০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করে রেখেছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে তালিকা যাচাইবাছাই করছেন। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমমনা ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে নির্বাচনি জোট করবে বিএনপি। এজন্য মিত্রদের কাছ থেকে তাদের প্রত্যাশিত আসনের তালিকা চাওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি দল তাদের প্রার্থী তালিকা বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে। মিত্রদের তালিকা পাওয়ার পর তারেক রহমান দলের শীর্ষ নেতা এবং শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে আসন চূড়ান্ত করবেন। তবে কার ভাগ্যে মনোনয়ন জুটবে-তা নিশ্চিত না হলেও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন যার যার নির্বাচনি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। সাধারণ মানুষের মন জয় করতে সভা-সমাবেশ, উঠোন বৈঠকসহ নানাভাবে জনসংযোগ করছেন।

অপর দিকে নির্বাচনি প্রস্তুতিতে বসে নেই জামায়াতে ইসলামীও। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে প্রার্থী ঠিক করে প্রায় চার মাস আগেই নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে এ দলটি। এখন তাদের কেন্দ্রভিত্তিক প্রস্তুতি চলছে। এর অংশ হিসাবে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করার কাজে হাত দিয়েছে তারা। দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এক-দেড় মাসের মধ্যে এ কার্যক্রমগুলো শেষ হবে।

সূত্র জানায়, জেলা-উপজেলা নেতাদের ভোট এবং কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। যারা এলাকায় জোরেশোরে কাজ করছেন। তবে জামায়াত কোনো নির্বাচনি জোট গঠন করলে এ তালিকা পুনর্গঠন করা হবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণ তুর্কিদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারাও নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ করছেন বেশ আগে থেকে। যাদের মধ্যে কয়েকজন প্রার্থী মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সূত্র বলছে, এ দলটির নীতিনির্ধারক মহল সেই দলের সঙ্গে নির্বাচনি জোট করতে চায়, যাদের সঙ্গে যুক্ত হলে নির্বাচনে জিতে আসার সম্ভাবনা থাকবে এবং দরকষাকষি করে বেশি আসন নিতে পারবে। তবে ভোট নিয়ে জোটের এই সমীকরণ সহসা প্রকাশ্যে আনতে চায় না দলটি। সম্ভবত, তফশিল ঘোষণার পরপরই সবকিছু স্পষ্ট হবে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজপথে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জোটের শরিকরাও পুরোদমে নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিএনপির অন্যতম মিত্র ১২ দলীয় জোট আগামী নির্বাচনে ১৮টি আসনে ছাড় চেয়েছে। এ প্রসঙ্গে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম রোববার যুগান্তরকে বলেন, তাদের জোটের পক্ষ থেকে ১৮টি আসন চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে যেই আসনগুলোতে জোটের শরিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল সেগুলো রয়েছে, সঙ্গে নতুন কিছু আসনও রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তারা নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। তিনি নিজেও নির্বাচন করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিএনপির আরেক মিত্র জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটও বিএনপির কাছে প্রার্থী তালিকা দিয়েছে। এই তালিকায় বিএনপির কাছে আটটি আসন চেয়েছে। জোটের প্রধান ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, আমরা আমাদের তালিকা দিয়েছি। এখন সেটি বিএনপির বিবেচনার বিষয়। ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, তিনিসহ তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিএনপির আরেক মিত্র জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে। বিএনপির কাছে তারাও আসন ছাড় চাইবে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে ১০ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা পুরোদমে নির্বাচনি মাঠে।

কর্নেল (অব.) অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, গণফোরাম, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ডান-বাম ঘরানার প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

এছাড়াও চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রায় প্রতিদিনই নিজ নিজ আসনে রীতিমতো ভোট চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা তাদের দলীয় প্রতীক ‘হাতপাখা’ নিয়ে মিছিল করে ভোট চাচ্ছেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপাসহ ইসলামি এবং ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও যার যার নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ করছেন। নিচ্ছেন নির্বাচনের প্রস্তুতি।