Image description
বিমান চেয়ারম্যানের দায়িত্বে একই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন! একের পর এক অঘটন, আকাশপথে বিপদ বাড়ছে বিমানের

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে আবারো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় বা উড্ডয়নের প্রায় এক ঘণ্টা পর ঢাকায় ফিরে এসেছে ফ্লাইটটি। কখনো ৫-৬ ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ার নজির কখনো বা বিকল্প না থাকায় ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে। আবার রানওয়েতে আটকে পড়া, চাকা খুলে পড়াসহ নানা সমস্যা যেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতিদিনকার চিত্র হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির বহরে থাকা উড়োজাহাজগুলো একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ছে। আকাশপথে বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না। গত জুলাই-আগস্ট মিলিয়ে এক মাসে অন্তত ১৮টি উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আকাশপথে বিমানের শিডিউল বিপর্যয় উদাহরণ রয়েছে। এতে ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয়ের পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। আর তাই এসব ত্রুটিতে বিপর্যস্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

এদিকে সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থাটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ বশিরউদ্দীন। তবে তিনি এর আগেই বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। ফলে একই সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের কারণে স্বার্থসংঘাত (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। যা আগামী দিনে বিমানকে আরো বিপর্যস্ত করতে পারে বলে মত সংশ্লিষ্টদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জানান, উপদেষ্টা আবার চেয়ারম্যানের পদে দায়িত্ব নেয়া এবং শিগগরিই ২৫ বোয়িং উড়োজাহাজ ক্রয় একই সূত্রে 
গাথা। এখানে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তারা।

বিমান বর্তমানে একটি কঠিন সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি, বিদেশি মুদ্রার সংকট এবং প্রতিযোগী এয়ারলাইনসের ভাড়া-নীতির কারণে বিমানের টিকিট বিক্রি প্রভাবিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, যাত্রী চাহিদা থাকলেও অনেক কমে ফ্লাইট ফাঁকা যাচ্ছে। আবার মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে ভিসা জটিলতার কারণে যাত্রী পরিবহন হ্রাস পেয়েছে। ভারত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরগামী ফ্লাইটেও প্রতিযোগী এয়ারলাইনসের সেবা ও ভাড়া সুবিধার কারণে বিমানের যাত্রী হারাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানের লোকসান কয়েক হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে। একই সঙ্গে ঋণের বোঝাও বেড়ে চলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে শেখ বশিরউদ্দীনকে এখন দ্বৈত ভূমিকা সামলাতে হবে। একদিকে বিমানের চেয়ারম্যান হিসেবে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা ও যাত্রী ফেরানো তার বড় লক্ষ্য, অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে বিদেশি ও দেশি সব এয়ারলাইনসের জন্য সমান প্রতিযোগিতা বজায় রাখা তার নৈতিক দায়িত্ব। এ অবস্থায় তার যেকোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই ব্যক্তি যখন নীতিনির্ধারক এবং প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রধান হন, তখন স্বচ্ছতা ও আস্থার সংকট তৈরি হয়। সামনে বড় প্রশ্ন হলো- তিনি কীভাবে সাংঘর্ষিক এই দ্বৈত দায়িত্ব সামলাবেন এবং বিমানের আর্থিক সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাবেন। সূত্রমতে, বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি ও শিডিউল বিপর্যয় যেন নিত্যদিনকার চিত্র। এর কোনোটি উড্ডয়নের পর গন্তব্যের মাঝপথ থেকে দেশে ফিরে এসেছে। আবার কোনোটিতে উড্ডয়নের আগেই ধরা পড়েছে ত্রুটি। পাইলটের অজান্তে আকাশ থেকে উড়োজাহাজের চাকা খুলে মাটিতে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। প্রায় সব ঘটনাই ঘটেছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে। এসব ঘটনার পরও তেমন হেলদোল নেই বিমানের। অথচ এসব কারণে বিমানে নিয়মিত ভ্রমণকারীরা দেশি-বিদেশি যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে অন্য এয়ারলাইনস বেছে নিচ্ছেন। ফলে যাত্রী হারানোর পাশাপাশি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। এতে লাভের বদলে ভারী হচ্ছে লোকসানের পাল্লা। এদিকে একের পর এক এসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে- এর পেছনে কি শুধুই যান্ত্রিক ত্রুটি? তাহলে কি উড়োজাহাজগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে বিমানের সক্ষমতার ঘাটতি? নাকি এসব ইচ্ছাকৃত নাশকতা? বা আগামী দিনে ২৫ বোয়িং উড়োজাহাজ ক্রয়কে ত্বরান্বিত করা। এমনকি বিমানের একজন মহাব্যবস্থাপকও বিষয়টিকে ‘অস্বাভাবিক’ বলেছেন। একের পর এক উড়োজাহাজ গোলযোগে পড়ায় সময়সূচি ঠিক রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিমানকে। যদিও বিমানের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উড়োজাহাজে কোনো ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে হ্যাঙ্গারে নেয়া হয়। সেখানে মেরামত শেষে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, উড়োজাহাজ উড্ডয়নের পর আবার অন্য ত্রুটি ধরা পড়ছে। গত কয়েক মাস ধরে এমন ঘটনা বেশি ঘটছে।

এদিকে বিমানের বহরে থাকা বোয়িং উড়োজাহাজগুলো যখন একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ছে, তখন সরকার নতুন করে আরো ২৫টি বোয়িং যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনার চিন্তা করছে। এখন বিমানের বহরের ২১টি এয়ারক্রাফটের মধ্যে ১৬টি বোয়িং। এর মধ্যে ছয়টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর আর ছয়টি ন্যারোবডির বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ রয়েছে। এর বাইরে বিমানের বহরে স্বল্প দূরত্বের রুটে চলাচল উপযোগী পাঁচটি ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ রয়েছে।

অবশ্য শুধু যান্ত্রিক ত্রুটিই নয়; বিমানের উড়োজাহাজে তেলাপোকা, পোকামাকড় ও তীব্র দুর্গন্ধের কারণে ব্যাগেজ ডেলিভারিও স্থগিত করার মতো ঘটনা ঘটেছে। সূত্রমতে, গত ২৯ জুলাই ইতালির রোমের স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় বিমানের বিজি-৩৫৫ ফ্লাইটটি অবতরণ করে। যাত্রী ব্যাগেজ দেয়ার সময় ১০ নম্বর লাগেজ বেল্টে অসংখ্য তেলাপোকা, পোকামাকড় ও তীব্র দুর্গন্ধ পায় ফিউমিচিনো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাৎক্ষণিকভাবে রোম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যাগেজ ডেলিভারি স্থগিত করে। এরপর বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল জীবাণুনাশক কার্যক্রম শুরু করে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়ে প্লেনের ব্যাগেজ কনটেইনার পোকামাকড় মুক্ত করা হয়। ওই দিনই রোমের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বিজি-৩৫৫ ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমানের উড়োজাহাজটির ব্যাগেজ কনটেইনার জীবাণুমুক্ত করতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লেগে যায়। পরে সব কাজ শেষ করে রাত সোয়া ১১টায় উড্ডয়নের অনুমতি দেয় রোমের ফিউমিচিনো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই সময় যাত্রীরা উড়োজাহাজের ভেতরে আটকে ছিলেন। এ ঘটনা জানিয়ে গত ৩১ জুলাই ঢাকায় বিমানের সদর দফতরে একটি চিঠি দেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের রোম স্টেশন ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। চিঠিতে যাত্রী ও ব্যাগেজ গ্রহণের সময় বিমানের সংশ্লিষ্টদের আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, গত ১৬ মে’র ঘটনা ছিল সবচেয়ে আলোচিত। ওই দিন বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বিমানের ৭৫ আরোহী। কারণ ওই দিন কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় এক পাশের চাকা খুলে যায় উড়োজাহাজটির। তবে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয়।
যদিও নানাবিধ সংকট ও লোকসানে থাকা রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনসটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মো. সাফিকুর রহমান চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিমানকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে। কিন্তু এখনো বিমানে স্বৈরাচার হাসিনার সিন্ডিকেট এবং নতুন করে উপদেষ্টার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায় আগামী দিনে বিমানকে আরো বিপর্যস্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এসব বিষয়ে বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ ও বিমানের সাবেক বোর্ড সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, বিমানের বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করছে বলে আমার মনে হয় না। এখানে হাজারো যাত্রীর যান-মাল জড়িত। তবে প্রতিটি যান্ত্রিক ত্রুটির অবশ্যই কারণ আছে। এগুলো বিমানের প্রকৌশল বিভাগকে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।
বিমানের বহরে থাকা উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে কয়েকটি বেশ পুরোনো। যেকোনো যান্ত্রিক যান পুরোনো হলে এর যন্ত্রাংশে ত্রুটি দেখা দেবেই। আর বিমানের কোনো যন্ত্রে যদি ত্রুটি দেখা দেয়, সেটি মেরামতের সুযোগ নেই। এ জন্য পুরো যন্ত্রটিই পরিবর্তন করতে হয়। এ কারণে প্রকৌশল বিভাগকে দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানের এক কর্মকর্তা জানান, বিমানের প্রকৌশল বিভাগে দক্ষ জনবল সংকট রয়েছে। এখন যারা কর্মরত তারা অতিরিক্ত চাপে ক্লান্ত। এর মধ্যে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ চলতি মাসের ঘটনাগুলো নিয়ে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কোনো উড়োজাহাজ উড্ডয়নের আগে প্রযুক্তিগত পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

উপদেষ্টার দ্বৈত দায়িত্বে সাংঘর্ষিক অবস্থান রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ বশিরউদ্দীন। তবে তিনি এর আগে থেকেই বাণিজ্য উপদেষ্টা এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। ফলে একই সঙ্গে দুটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং নিজের মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থার চেয়ারম্যানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের কারণে স্বার্থসংঘাত তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। উপদেষ্টা হিসেবে শেখ বশিরউদ্দীনের মূল কাজ হলো দেশি-বিদেশি সব এয়ারলাইনসের জন্য সমান প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা। বিদেশি এয়ারলাইনসের নতুন রুট অনুমোদন, ল্যান্ডিং স্লট বণ্টন, ভাড়া নীতি প্রণয়ন এবং বিমানবন্দরের সেবায় সমান সুযোগ দেয়া- এসব দায়িত্ব তার ওপরই বর্তায়। কিন্তু বিমানের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে এখন রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। এর জন্য তিনি এমন কিছু নীতি বা সিদ্ধান্তে যেতে পারেন, যা প্রতিযোগী এয়ারলাইনসগুলোর জন্য সুবিধাজনক হবে না। যেমন- বিমানের স্বার্থ রক্ষায় রুটে প্রতিযোগিতা সীমিত রাখা, ভাড়া নীতিতে বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করা কিংবা বিমানবন্দর ব্যবহারে অগ্রাধিকার পাওয়া। এতে বিদেশি এয়ারলাইনস তো বটেই, দেশীয় বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোরও সমান সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর বলেছেন, উপর্যুপরি এসব ঘটনায় বিমান কর্তৃপক্ষ একাধিক তদন্ত কমিটি করেছে। পাশাপাশি প্রকৌশল বিভাগ সতর্কতার সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। গত কিছু দিনে অনেক উন্নতিও হয়েছে, অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি। তবে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। ঘটনাগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটেছে এটা আশ্চর্যের বিষয়। একই সমস্যা কিন্তু বারবার হচ্ছে না। এটা সত্যিকার অর্থেই অস্বাভাবিক। আমাদের প্রকৌশল বিভাগ সেগুলোর সমাধানও করছে, সুতরাং তাদের দক্ষতার অভাব আছে সেটাও বলা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। আশা করছি, দ্রুতই এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা হয়েও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় কোনো স্বার্থের সংঘাত হয়নি বলে মনে করেন একই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, একাধিক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে তিনি ঐসব মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যদি ওইগুলোতে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট না হয় তাহলে বিমানে কেন হবে। শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, আমাকে হেয় করার অপচেষ্টা না করে, গরীব মানুষগুলো কীভাবে বিমানের দুর্বৃত্তায়নের কাছে জিম্মি সেটা নিয়ে অনুসন্ধান করুন।