
দেশে এখন সব কিছুই চলছে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিবাচনকে কেন্দ্র করে। বিতর্ক এড়িয়ে দলনিরপেক্ষ প্রশাসন সাজানো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকীকরণ, বিপর্যয়ের মুখ থেকে অর্থনীতিকে গতিশীল করা, খাদের কিনার থেকে ব্যাংকিং সেক্টকে টেনে তোলা, ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ, নির্বাচন কমিশনের ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ গ্রহণের লক্ষ্যে দল গোছানো, প্রার্থী বাছাই, প্রার্থীর খসড়া তালিকা প্রকাশÑ সব কিছু চলছে নির্বাচন ঘিরে। বিদেশি রাষ্ট্রদূত, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, বিদেশি মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ঢাকা সফরে এলে তাদের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়ে ব্রিফিং দেয়া হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে দীর্ঘ ১৫ দিন পর এবং পূজার ছুটিসহ সাপ্তাহিক ছুটির চারদিন বন্ধ থাকার পর আজ কর্মদিবস শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে নির্বাচনকে সামনে রেখে একের পর এক প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী ইনকিলাবকে বলেন, এখন সব কিছুই হবে নির্বাচন ঘিরে। নির্বাচন নিয়ে নানা খেলার চেষ্টা হবে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ড. ইউনূস জাতিকে নির্বাচন উপহার দেবেন। নির্বাচন পেছানো এবং অপ্রাসঙ্গিক পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি নিয়ে যতই মাঠ গরম করার চেষ্টা হোক, সুবিধা করতে পারবে না এবং নির্বাচন পেছাবে না। কারণ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় ড. ইউনূস মার্কিনপন্থি। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন দিয়ে তিনি এপ্রিলের দিকে আমেরিকা চলে যাবেন। পিআর পদ্ধতি বা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টায় যারাই পরামর্শ দিক, তিনি কারো কথা শুনবেন বলে মনে হয় না।
রাজনৈতিক দলগুলো কর্মতৎপরতা চালালেও প্রশাসনে নেমে এসেছিল স্থবিরতা। প্রধান উপদেষ্টা দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় অনেক সিদ্ধান্ত পেন্ডিং রাখা হয়। ব্যাংকিং সেক্টর যেমন অস্থিরতা-অনিশ্চয়তা তেমনি নির্বাচন কমিশন রোডম্যাপ ঘোষণা করলেও অনেক সিদ্ধান্তই আটকে ছিল। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতো করে প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম এবং ভোটারদের আকর্ষণে নানামুখী তৎপরতা চালালেও ‘নির্বাচন পদ্ধতি’ ইস্যুতে মতভেদ এখনো বিদ্যামান।
এ ছাড়াও হিন্দুদের দুর্গাপূজা নিয়ে টানা চারদিন সরকারি অফিস-আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অফিস শুরু করার দিন থেকে আসতে থাকবে একের পর এক সিদ্ধান্ত। প্রশাসন সূত্রের দাবি, প্রতিটি পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে আসন্ন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে। প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্বাচনী সেটাপ, নির্বাচনের সময় দেশের অর্থনীতি যাতে গতিশীল থাকে সে ব্যাপারে সুচিন্তিত পদক্ষেপ, আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রাখা, পতিত আওয়ামী লীগ বাদে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যাতে নিজেদের ছোট ছোট স্বার্থত্যাগ করে নির্বাচনী মাঠে নামেন, নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয় সে সব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা টার্গেট করে রোডম্যাপ দিয়েছে। আবার অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছন, ‘সরকার বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনকে সর্বকালের সেরা এবং ঐতিহাসিক করার পরিকল্পনা করছে। আমরা একটি উদাহরণ, একটি ঐতিহাসিক উদাহরণ তৈরি করতে চাই, যা বিশ্ববাসী দেখবে।’ অবশ্য এখনো রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন পেশাজীবী যারা নানা দাবি নিয়ে মাঠে রয়েছেন তাদের নির্বাচনমুখী করা এবং প্রশাসনে নিরপেক্ষ বলয় তৈরি করে ভোটের আয়োজন করতে হচ্ছে।
অবশ্য গতকালও নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বলেছেন, নারীর রাজনৈতিক অধিকার দিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনে পাঁচ দফা নারী বিষয়ে আলোচনা করেও নারীর অধিকারগুলো আনতে পারিনি। নারীর ন্যায়সঙ্গত অনেক বিষয়গুলো উপেক্ষিত হয়েছে। এটি ইচ্ছাকৃত নয়। তবে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকানো ও পেছানোর দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চললেও কার্যত দেশের নির্বাচনী ট্রেন চলতে শুরু করেছে। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে আনেক আগেই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। নির্বাচন কমিশনও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে জোরকদমে। প্রশাসনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠায় ইতোমধ্যেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েল দল-নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন সে জন্য এ পদেও নতুন নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিসি নিয়োগে যোগ্য কর্মকর্তা বাছাই (ফিটলিস্ট) করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা দেশে আসায় নির্বাচনের দল-নিরপেক্ষ প্রশাসন সাজানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কারের মাধ্যমে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশন দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অর্ধশত দিন বৈঠক করে সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু কিছু প্রস্তাবনায় রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেও অনেক প্রস্তাবনায় বিরোধ রয়েছে। ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দেয়া হলেও ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ করা হয়নি। এর মধ্যেই জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ কিছু দল হঠাৎ করে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন এবং জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো নিষিদ্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রনেতাদের একাংশের গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজনের দাবি জানাচ্ছে। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে তারা সংবিধানের বাইরে গিয়ে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি ধর্তব্যেই আনছে না। সিইসি ঘোষণা দিয়েছেন প্রচলিত পদ্ধতি নির্বাচন করবেন। তবে জামায়াত কয়েকটি দলকে নিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হলে এসব রাজনৈতিক বিরোধের সুরাহা করতে হবে নভেম্বর মাসের মধ্যেই।
অবশ্য জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়ার মাধ্যমে পূর্ণ নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জামায়াতের প্রতিটি কর্মীকে এখন নির্বাচনী মাঠে নেমে পূর্ণ শক্তিতে কাজ করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেয়া হবে’।
বর্তমানে দেশের অর্থনীতি ভালো নয়। যেকোনো দেশের জাতীয় নির্বাচনের মৌসুমে অর্থনীতিকে গতিশীল ও ব্যবসায়ীদের স্বস্তিতে রাখা অপরিচার্য। আর্থিক সঙ্কট থাকলে নির্বাচন স্বাভাবিক গতিতে হয় না। দেশের অর্থনীতি বর্তমানে চরম দূরবস্থায় পড়ে গেছে। বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করে শেখ হাসিনা বিদেশে পালিয়েছেন। তার আগে দেশের অর্থনীতিকে তছনছ করেছেন। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে ব্যবসা সেক্টরকে বিশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরেও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় নতুন বিনিয়োগ আসছে না। ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন করেও বিদেশি বিনিয়োগ আনতে পারেননি। এর মধ্যে গার্মেন্টস শিল্পসহ রফতানি ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বাভাবিকতা আসেনি। ব্যাংকিং সেক্টর কার্যত ভেঙে পড়েছে। কিছু ব্যাংকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত এবং নতুন টাকা ছাপিয়ে ব্যাক্তিমালিকানাধাীন ব্যাংক সচল রাখার চেষ্টা করেও সুফল মেলেনি। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, ‘চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৩ শতাংশ পর্যন্ত নেমে আসতে পারে; যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। নির্বাচন না হলে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যহারে কমবে। নানা জটিলতা এবং প্রয়োজনীয় গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় একের পর এক শিল্প কারখানার চাকা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা কোনোভাবেই ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।
এমন অবস্থায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রায়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি অর্থবছরের বাজেটে নির্বাচন কমিশনের খরচের জন্য দুই হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অথচ ২০২৪ সালের ডামি প্রার্থীর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল চার হাজার ১৯০ কোটি টাকা; যার মধ্যে পরিচালন খরচ বাবদ বরাদ্দ ছিল তিন হাজার ৯৮১ কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যেই রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি বলেছে আগামী ডিসেম্বরেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন আয়োজনের বার্তা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি পাওয়ার পর নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নিধারণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটার মতো বড় কাজগুলো চলতি মাসেই শেষ হবে বলে জানা গেছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নির্বাচনের আগে পুলিশ সুপার (এসপি) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দেড় লাখ সদস্যকে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের লক্ষে ট্রেনিং দেয়া হবে। ইতোমধ্যেই ট্রেনিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্টাইকিংফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সংবাদ ব্রিফিং করে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ভোটার তালিকা হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এসবের বাইরে নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ব্যালট পেপার ছাপানোর মতো কিছু রুটিন কার্যক্রম। যারা প্রশিক্ষণ দেবেন, (প্রশিক্ষক) তাদের প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সাধারণত তফসিল ঘোষণার পর এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ইসি নির্বাচন অনুষ্ঠানে যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।