Image description
ফেসবুক পোস্টে শহিদুল আলম

গতি কমিয়েছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজ কনসায়েন্স। এতেই আছেন বাংলাদেশের অধিকারকর্মী শহিদুল আলম। সেখান থেকে তিনি শনিবার দুপুরের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। জানিয়েছেন, কনসায়েন্স গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, থাউজেন্ড ম্যাডলিনস একটি অসাধারণ ধারণা। গণহত্যা রোধে বিশ্ব নেতাদের সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়তা এবং ভণ্ডামির মুখে, বিশ্বের মানুষ নিজেরাই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাজার জাহাজের ধারণাটি প্রতীকী। তবে এটি অবশ্যই সমুদ্রগামী জাহাজের বৃহত্তম বহর, যা এইভাবে একত্রিত হয়েছে। এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বৃহত্তম জাহাজ কনসায়েন্সটিই শেষের দিকে শুরু করে। এটি ২০২৫ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর ইতালির ওট্রান্টো থেকে যাত্রা শুরু করে।

২রা অক্টোবরের মধ্যে সুমুদ ফ্লোটিলার আগের জাহাজগুলোকে আটক করে আইডিএফ (ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সেস)। যে জাহাজটি ইসরাইলকে এড়িয়ে চলছিল, তাও আটক করা হয়েছে। কিন্তু কনসায়েন্সের ঠিক আগে আরও ৮টি জাহাজ যাত্রা শুরু করে। আরও দু’টি ফ্লোটিং ফ্রিডম কোয়ালিশন জাহাজও রয়েছে, যদিও আমরা তাদের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত নই। কনসায়েন্স দ্রুতগামী জাহাজ হওয়ায় সমুদ্রের মাঝখানে তাদেরকে ধরে ফেলে। আমরা কেবল উত্তাল সমুদ্রে এই জাহাজগুলোর মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন গতি কমিয়ে দলবদ্ধভাবে গাজার দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উভয়পক্ষের সংহতির অনুভূতি অসাধারণ। কার্যক্ষেত্রে এটি হলো জনগণের শক্তি।

ইসরাইল যা-ই করার পরিকল্পনা করুক না কেন, এটি একটি মানবসমুদ্র যা থামাতে অক্ষম (তারা)। আমরা বিবেকের কাছে অবরোধ ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যদি তারা আমাদের থামায়, তাহলে অন্যরাও আসবে। কোনো অত্যাচারী কখনও জনশক্তির বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে পারেনি। ইসরায়েলও ব্যর্থ হবে। ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে। অন্যদিকে কিছুক্ষণ আগে এক ভিডিও বার্তায় কনসায়েন্স ফ্লোটিলার একটি অংশ দেখিয়ে শহিদুল আলম বলেন, এখানেই মিডিয়া জড়ো হয় এবং আমাদের নিচের ডেকে ওঠার সিঁড়ি আছে। শেষে আপনি যে ঘরটি দেখতে পাচ্ছেন সেখানেই আমরা আমাদের জিনিসপত্র রাখি।