
আজ শুক্রবার বিকেলেই সাজানো ছিল বরযাত্রার অপেক্ষা। বাদ আসরের পর বসতেন বিয়ের পিঁড়িতে। এরই মধ্যে আত্মীয়-স্বজনের ভিড়ে রঙিন হয়ে উঠেছিল গ্রাম। কিন্তু সেই হাসিখুশির আসর রাতারাতি পরিণত হলো শোকে।
শুভ প্রবাসী নুরুল ইসলামের ছেলে। গ্রামের বাড়ির সামনেই চালাতেন চায়ের দোকান। পরিবার ও গ্রামজুড়ে তখন বিয়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে।
এরপর হঠাৎ করেই দোকানের দিকে চলে যান। ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন খুঁজতে গিয়ে দেখতে পান দোকানের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছেন তিনি। উদ্ধার করে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এইচ এম আলভী তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুভর দাদা আবদুর রব হাওলাদার চোখ মুছতে মুছতে বললেন, বিয়েতে ওর কোনো আপত্তি ছিল না। সব কেনাকাটা, সাজসজ্জা নিজেই করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেও সবার সঙ্গে নাচগান করেছে। হঠাৎ কী হলো, তা আমরা বুঝতে পারছি না।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম জানান, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, যে বাড়ি আজ আলোয় ঝলমল করার কথা ছিল, সেখানেই এখন স্তব্ধ নীরবতা। উঠান ভরে গেছে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের আহাজারিতে। বাদ আসরের যে মুহূর্তে শুভর বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল, ঠিক তখনই তাঁর বাড়িতে শোনা গেল বুকভাঙা কান্নার শব্দ।