Image description

শিক্ষকের কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক আশিকুর রহমান শিকদারকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। তাকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম কুমার সরকার মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার অফিস সহায়ককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এতে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারলীনা পারভীন কল্যাণ তহবিলের চিকিৎসা অনুদানের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করানোর চেষ্টা করছিলেন। শিক্ষা কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে স্বাক্ষর না দিয়ে ফাইল ঘোরাচ্ছিলেন। এ সময় অফিস সহায়ক আশিকুর রহমান ভুক্তভোগী শিক্ষকের কাছে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে স্বাক্ষর করানোর প্রস্তাব দেন। বিষয়টি জানার পর শারলীনা পারভীন সহকর্মী নিয়ে অফিসে গেলে আশিকুর স্বীকার করে এবং ক্ষমা চেয়ে অফিস থেকে পালিয়ে যান।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের অভিযোগ, বিষয়টিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারও ভূমিকা থাকতে পারে। 

তবে শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম কুমার সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অফিস সহায়ককে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে শোকজ দেওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না এলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।