
কে এই কর্নেল জিএম রাজীব আহমেদ? গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ রেহানা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। শেখ রেহানাকে ফোন ধরিয়ে দিয়েছিলেন কর্নেল রাজীব। তখন তিনি ছিলেন শেখ হাসিনা উপসামরিক সচিব (ডিএসপিএম)।
কর্নেল রাজীব ২০২০ সালের আগস্টে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী সামরিক (এএমএসপিএম) হিসেবে যোগ দেন। পরে কর্নেল পদে তার পদোন্নতি হয়। একই সঙ্গে তাকে উপসামরিক সচিব হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়। তিনি শেখ রেহানা এবং মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের খুবই অনুগত ও বিশ্বস্ত ছিলেন। আওয়ামী সমর্থক এ সামরিক কর্মকর্তাকে বিশ্বস্ততার কারণেই তাকে সরকারের স্পর্শকাতর জায়গায় পদায়ন করা হয়েছিল। জানা গেছে, শেখ হাসিনা যে সামরিক বিমানে করে দিল্লিতে পালিয়ে যান, ওই বিমানে অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কর্নেল রাজীবও ছিলেন। তবে তিনি অন্যদের সঙ্গে ওই বিমানেই দেশে ফিরে আসেন। তিনি ৪১তম লং কোর্সের একজন অফিসার। তার পরিচিতি নম্বর বিএ-৫৯২৯।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একজন ঘোরবিরোধী কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও প্রাইজ পোস্টিং হিসেবে সরকারে তাকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে পাঠিয়েছেন। তাকে টিমের কমান্ডার [Contg Comd. BANBAT-8(66 EB), UNMISS] হিসেবে দক্ষিণ সুদানে পাঠানো হয়।
সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়ার ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, সেনাপ্রধান থাকাকালে গুমসহ নানা অপকর্মে জড়িত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিলেন ইকবাল করিম ভূঁইয়া। তবে উপসামরিক সচিব কর্নেল রাজীবসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামরিক কর্মকর্তারা বাধা হয়ে দাঁড়ান।