Image description

আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলা করায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের প্রতিক্রিয়া জানানোর দাবিটিকে ভুয়া বলে শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিক্ষোভ-মিছিল করলে সেখান থেকে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। এর পরপরই ওই ঘটনায় জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখে, ভলকার তুর্ক এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। আসলে ভিডিওটি গত ১২ ফেব্রুয়ারির। সেদিন তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলেন। ভিডিওটির কিছু স্থিরচিত্র রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে জাতিসংঘের নিউজরুম ওয়েবসাইটে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একই ভিডিও পাওয়া যায়। ওই ভিডিওর ১ মিনিট ৫২ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট ২৫ সেকেন্ড এবং ২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড থেকে ৩ মিনিট ২ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।

বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানায়, সেখানে ভলকার তুর্ক তার বক্তব্যে বলেন, ‘তৎকালীন ক্ষমতাসীন নেতাদের নেতৃত্বে ও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় বিক্ষোভ দমন ও ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছিল। আন্দোলনের শুরুতে নারীরা ও কিশোরীরা সামনের সারিতে ছিলেন এবং তারা নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হাতে, বিশেষভাবে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হন।’

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের সম্পূর্ণ ভিডিওটি এখনো পাওয়া যায়। যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৩ ফেব্রুয়ারি।

এছাড়া, কোনো গণমাধ্যম বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলা নিয়ে ভলকার তুর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন— এমন তথ্য মেলেনি। তাই দাবিটি মিথ্যা বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাফ্যাক্ট।

বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।