
রাজধানীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র হাতিরঝিল ও পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়ক। দিনে ভিড়, আলো, নিরাপত্তা—সবই ঠিকঠাক। কিন্তু রাত নেমে আসতেই বদলে যায় দৃশ্যপট। অন্ধকার আর ফাঁকা রাস্তায় সুযোগ নেয় ছিনতাইকারীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল থাকলেও তা উপেক্ষা করেই চলে নানা অপরাধ।
ব্যস্ত রাজধানীতে কিছুটা স্বস্তির ছোঁয়া নিতে অনেকেই ছুটে যান হাতিরঝিলে। কিছুদিন ধরে সেই স্বস্তিতে গুড়ে বালি। সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত হাতিরঝিলের কয়েকটি স্পটে ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। বিশেষ করে ফ্লাইওভারের নিচের পথ, পানির ধারের নির্জন রাস্তা আর যেখানে স্ট্রিট লাইট নেই—সেসব জায়গায় অপরাধীরা বেশি সক্রিয়।
কাজ শেষ করে সন্ধ্যায় অফিসে ফিরছিলেন অনলাইন ডেলিভারির কাজ করা সায়েম। হাতিরঝিলের রামপুরা সেতুর কাছে তাকে ঘিরে ধরে চারজন-পাঁচজন।
সায়েম বলেন, ‘আমি যখন হাতিরঝিল দিয়ে যাচ্ছি পাঁচজন আমার পথ আটকায়। তাদের একজন বলেন, তোমাকে বড়ভাই ডাকে। এরপরই আমার সব নিয়ে যায় তারা।’
একই অবস্থা পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কেও। এখানেও নিয়মিতই ঘটছে ছিনতাই, ডাকাতি আর হত্যার মতো ঘটনা। পুলিশের টহল থাকলেও সুযোগ বুঝে কাজ শেষ করে সটকে পড়ছে অপরাধীরা। সম্প্রতি এক মোটরসাইকেল রাইডারও তাদের শিকারে পরিণত হন।
পুলিশের তথ্য বলছে, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত নয় মাসে হাতিরঝিলে ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযোগ পড়েছে মাত্র সাতটি। আর ৩০০ ফিটে ছিনতাইয়ের ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় অভিযোগ পড়েছে চারটি। তবে সাধারণ মানুষের ধারণা, আরও অনেক ঘটনার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন না অনেকেই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘রাজধানীতে ছিনতাই এবং যেকোনো ধরনের অপরাধ প্রতিরোধের জন্য আমাদের নিয়মিত টহল চলমান। ফলে ছিনতাইয়ের ঘটনা আগে থেকে কমেছে।’