Image description

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত ইমতিয়াজ আহমেদের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। প্রায় আট দিন পর চোখ খুলতে শুরু করেছেন তিনি। গত শনিবার বেলা একটা থেকে তিনি লাইফ সাপোর্ট ছাড়াই রয়েছেন। চট্টগ্রাম নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন তিনি।

ইমতিয়াজ আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। গত ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের  ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। সেদিন থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। প্রায় ছয় দিন পর গত শনিবার দুপুরে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে।

ইমতিয়াজের বড় ভাই আসাদুজ্জামান সজীব আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলে, ‘বাবা সকালে ভেতরে গিয়েছিল। সে মৃদু মৃদু চোখ খুলছে। তাকে আরও তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।’

ইমতিয়াজের বাড়ি কুমিল্লায়। তবে তাঁর পরিবার থাকে বগুড়ায়। ইমতিয়াজ আহত হওয়ার খবর পেয়ে ১ সেপ্টেম্বর তাঁর মা-বাবা চট্টগ্রামে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নগরের চকবাজার এলাকায় একটি হোটেলে তাঁদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। সেখান থেকে বাবা আমির হোসেন, মা শাহানাজ আমিন ও ভাই সজীব যাওয়া আসা করছেন।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর কনশাস লেভেল ১০ থেকে ১২–এর মধ্যে ওঠানামা করছে। একজন স্বাভাবিক মানুষের কনশাস লেভেল ১৫। তাঁর বিষয়ে তিন দফা বোর্ড বসেছে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাঁকে দেখে গেছেন। তাঁর অবস্থা উন্নতির দিকে।

পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম রেজাউল করিম বলেন, ‘ইমতিয়াজ তার মা–বাবাকে চিনতে পারছে। হাত-পা মুভমেন্ট করছে। তবে তার বাঁ পাশটা একটু কম রেসপন্সিভ। সেটি ফিজিওথেরাপি দিলে ঠিক হয়ে যাবে। সে ওভার অল ইম্প্রুভ করেছে বলা যায়।’