Image description
মাহমুদুর রহমান মান্না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ডাকসুতে ভোটের মাধ্যমে যে নতুন নেতৃত্ব আসবে তারা অতীতের গৌরবকে স্মরণ করে, বর্তমান সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে, ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেবে এটাই প্রত্যাশা। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কয়েক বছর পর আজ ডাকসুতে ভোট হচ্ছে। একটি সুষ্ঠু ভোট চাই। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিক। নির্বাচিতরা তাদের দায়িত্ব পালন করবে সেটাই প্রত্যাশা।

ডাকসুতে যারা বিজয়ী হয়-তারা জাতীয় নেতৃত্ব দেয়-এমন প্রশ্নের জবাবে ডাকসুর দুবারের ভিপি মান্না বলেন, ডাকসুতে যারা নেতৃত্ব দেয় তারা পরবর্তীতে জাতীয় নেতৃত্ব দেয়-বিষয়টি সব সময় ও সবক্ষেত্রে তা নয়। ডাকসুতে নেতৃত্ব না দিয়েও জাতীয় নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন রাজনীতিবিদ আছে। তবে ডাকসুতে যারা ভিপি-জিএস হন, তারা পরবর্তীতে নেতৃত্বে থাকেন। কেমন নেতৃত্ব আসা উচিত জানতে চাইলে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, কেমন নেতৃত্ব আসা উচিত-এটা পারসন (ব্যক্তি) তো বলা যাবে না। এটা বলতে হবে চরিত্র ও তাদের দায়িত্ব দিয়ে। দায়িত্বটা হবে অতীতের নেতৃত্ব যেমন দায়িত্ব পালন করেছে, সেই গৌরবের জায়গা যেন ধরে রাখতে পারে। তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে নিয়ে দেশের মানুষ চরম আশাবাদী। এই তরুণরাই গত বছর (২০২৪) জুলাই-আগস্টে যে স্বপ্ন রচনা করেছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে থাকবে এটাই বড় প্রত্যাশা। এই তরুণ প্রজন্মই ফ্যাসিবাদী চক্রকে তাড়িয়েছে। ডাকসুতে নিয়মিত ভোট হওয়া উচিত জানিয়ে মান্না বলেন, প্রতি বছর ডাকসু নির্বাচন হওয়া উচিত। বিরতি দিয়ে ভোট করা মোটেও ভালো দিক না। নিয়মিত ভোট হলে যেমন নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে-তেমনি যারা নির্বাচিত হতে চান তাদের মধ্যেও এক ধরনের প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। শিক্ষার্থীদের মন জয় করার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হবে। সবাই ভালো কাজ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।

নতুন নেতৃত্বের প্রতি কোনো নির্দেশনা আছে কি না জানতে চাইলে ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না বলেন, অতীতের কথা স্মরণ করে বর্তমান বাস্তব বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের স্বপ্ন করা। আমি চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত গৌরব ফিরে আনুক নতুন নেতৃত্ব। তারা জ্ঞানের বাতি জ্বালিয়ে রাখুক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বুকের রক্তে গড়ে উঠেছে বাংলা ভাষার মর্যাদা। ছয় দফা দাবির পেছনে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছিল এই ক্যাম্পাস। এরশাদবিরোধী আন্দোলন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের গর্বের স্থান। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, এই প্রতিষ্ঠান বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, যুগে যুগে দেশের দিশা দেখিয়েছে।