
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টিএসসি মিলনায়তনে ‘ডাকসু নির্বাচনী বিতর্ক–২০২৫’ আয়োজন করা হয়। বিতর্কে ঢাবির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামীম অংশ নেয়।
বিতর্ক চলাকালে হামীমকে প্রশ্ন করা হয়, ‘২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তার ছাত্রসংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো দখল করে নেয়। এখন অনেকে মনে করছেন বিএনপিও আসন্ন নির্বাচনে ভালো করবে। বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায়, তাহলে আপনাদের হল দখলে কত সময় লাগবে—একদিন, এক সপ্তাহ, না এক মাস?’
উত্তরে হামীম বলেন, ‘২০০৮ সালে একটি সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ২০১৪ সালে তারা এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষমতায় থাকে, ২০১৮ সালে হয় রাতের ভোট, আর ২০২৪ সালে ফাঁকা মাঠের নির্বাচনে তারা ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু বিএনপি যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, সেটি হবে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নির্বাচন। আমরা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের সময়ে আধিপত্যের রাজনীতি দেখেছি, আর এখন সে রাজনীতির বিপরীতে আমরা দাঁড়াতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলেও, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে একটি ব্যঙ্গাত্মক গান গাওয়া হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও তার সন্তানকে নিয়ে। ছাত্রদল তখন ক্যাম্পাসে সক্রিয় থাকলেও বাকস্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করেনি। অতীতে আমরা যে দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দিয়েছি, বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে আমরা আরও দায়িত্বশীল থাকব।’
শেখ তানভীর বারী হামীম বলেন, ‘আমি আজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে প্রথম ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছি। ভিন্ন পথ ও মতের মানুষদের নিয়েও কিভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায়, তা আমরা দেখিয়েছি। এমনকি একজন প্রার্থীকে নিয়ে যখন রিট করা হয়, আমি তখনই বলেছি—এটা নির্বাচন শুরুর সাত দিন আগে করা অনুচিত ছিল, আরও আগে করা উচিত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, দল নয়, দায়িত্বই বড় কথা। ডাকসুতে নির্বাচিত হয়ে আমরা ছাত্রদের স্বার্থে কাজ করতে চাই, ভিন্ন মতকে সম্মান জানাতে চাই এবং গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে একটি নিরাপদ ও স্বাধীন ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে চাই।’