
গাজীপুরে একটি শপিং সেন্টারের ওয়াশরুমে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এক নারী ক্রেতা। এ ঘটনায় শপিং সেন্টারের কেয়ারটেকার মো. কালাম (৪৫) আসামি করে মামলা করেছেন ওই নারী।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মহানগরীর রাজবাড়ী রোডে অবস্থিত গাজীপুর শপিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী গাজীপুর মহানগরীর ইটাহাটা এলাকার বাসিন্দা। তিনি জানান, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জামাকাপড় কেনার জন্য গাজীপুর শপিং সেন্টারে যান। পরে ওয়াশরুম ব্যবহারের সময় কেয়ারটেকার প্রথমে অশ্লীল ইঙ্গিত দেন। বাইরে বের হওয়ার সময় তিনি ভুক্তভোগীর মুখ চেপে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং জামা টানাহেঁচড়া করেন। কোনোভাবে ভুক্তভোগী চিৎকার করে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমি ওয়াশরুমে ঢোকার সময় থেকেই কালাম বাজে ইঙ্গিত করছিল। বের হওয়ার সময় সে আমার মুখ চেপে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। আমার বোরকার বাঁ হাতের অংশ ছিঁড়ে ফেলে। আমি চিৎকার করলে আমার সঙ্গে থাকা আত্মীয়-স্বজনরা দৌড়ে এসে আমাকে রক্ষা করে। পরে কেয়ারটেকার আমাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর মার্কেট মালিক ও ব্যবসায়ীরা তাকে পালাতে সহায়তা করে। আমি ন্যায়বিচার চাই।’
ভুক্তভোগীর ভাতিজা সাজিদুল ইসলাম সাজিদ (১৮) বলেন, ফুফু ওয়াশরুমে ঢোকার কিছুক্ষণ পর চিৎকার শুনে আমি দৌড়ে যাই। গিয়ে কেয়ারটেকারকে হাতে-নাতে ধরি। তখন সে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় মার্কেটের মালিক ও কয়েকজন ব্যবসায়ী কেয়ারটেকারকে পালাতে সহায়তা করেন।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময় স্থানীয়রা অভিযুক্ত কালামকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায় এবং তাকে পালাতে সহায়তাকারীদেরও আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞাপন
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। আমিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হত চৌহান বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।