
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা করতে সালিশ বসেছিল থানার সামনে একটি চায়ের দোকানে। কিন্তু, সেখানে পুলিশের সামনেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে বিবাদমান দুইপক্ষ। এ সময় ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান মজনু মিয়া (৩০) নামে এক যুবক।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে করিমগঞ্জ থানার সামনে একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মজনু মিয়া উপজেলার কান্দাইল ক্ষিদিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জয়কা এলাকার তোতা মিয়া ও ইসলাম উদ্দিনের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দেনদরবারও হয়েছে। সম্প্রতি ইসলাম উদ্দিনের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর করলে থানায় অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আবদুল আলীম উভয়পক্ষকে থানায় ডাকেন। শুক্রবার বিকেলে পুলিশের ওই কর্মকর্তার উপস্থিতিতে থানার সামনে একটি চায়ের দোকানে সালিস বসে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন মজনু মিয়া। প্রথমে তাকে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে পাঠানো হয় কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু, সেখানকার চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব মুর্শেদ বলেন, জমি নিয়ে সালিসের সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।