
আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ঢাবি ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। প্রার্থীদের উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি ভোটার শিক্ষার্থীদের মাঝেও খুশির হাওয়া বইছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন রয়েছে যে, তারা কীভাবে ভোট দেবেন? দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের এ আয়োজনে ডাকসু ও হল সংসদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানানো হবে।
নির্বাচনের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে যেকেউ যেকোনো সময়ে গিয়ে নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে ভোট দিতে পারবেন। কেন্দ্রে গিয়ে প্রথমেই লাইনে দাঁড়াতে হবে। সিরিয়াল অনুযায়ী এগিয়ে গিয়ে দায়িত্বরত পোলিং অফিসারকে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা পে-ইন স্লিপ বা লাইব্রেরি কার্ড এবং অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা হল কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয় কার্ড ও লাইব্রেরি কার্ড দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন। পরিচয় নিশ্চিতের পর বুড়ো আঙ্গুলের নখে অমুছনীয় কালিযুক্ত মার্কারের দাগ নিতে হবে এবং ভোটার তালিকায় নিজের নামের পাশে স্বাক্ষর করতে হবে। পোলিং অফিসারকে ভোটার নম্বর জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী গোপন ভোট কক্ষে যেতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভোট কক্ষে মোবাইল বা কোনো ইলেকট্রিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। ভোট কক্ষে গিয়ে ব্যালট পেপার থেকে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও ব্যালট নং বের করে নামের পাশের ঘরে ‘ক্রস’ চিহ্ন দিতে হবে। ‘টিক’ চিহ্ন দিলে ভোট গ্রহণযোগ্য হবে না। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান শেষে ব্যালট পেপারগুলো নিয়ে গোপন কক্ষ থেকে বের হয়ে ব্যালট বাক্সে সেগুলো রাখতে হবে।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের অর্থাৎ ডাকসুর ব্যালট ‘ডাকসু’ নামক বাক্সে এবং হল সংসদের ব্যালট ‘হল’ নামক বাক্সে রাখতে হবে। তবে ব্যালট পেপার ভাজ করে বাক্সে রাখা যাবে না। বরং ভাজ না করেই রাখতে হবে। পরে বের হয়ে যেতে হবে।
এদিকে, সম্প্রতি ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখ ও ভেতরে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। তিন ধাপে কাজ করছে পুলিশ। বুথ ছাড়া পুরো ভোটকেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ভোট গণনাও সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে সম্পন্ন হবে।
এছাড়া, সাইবার বুলিং বা অনলাইনে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আসলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর বাইরে, ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থিত আইবিএ হোস্টেল, লেদার ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, কবি সুফিয়া কামাল হলসহ প্রশাসনিক ও আবাসিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ। নির্বাচনের দিন শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের জন্য নিউ মার্কেটের লেন উন্মুক্ত রাখা হবে। ভোটের দিন ২৫০ জন বিএনসিসি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন এবং সহকারী প্রক্টরের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।