Image description

গাইবান্ধায় এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তিনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক যুবক বয়সের হ্যাকারকে নাবালক হিসেবে উপস্থাপন করে জাল জন্মসনদের মাধ্যমে জামিন আদায় করেছিলেন। এবার সেই আইনজীবীর বিরুদ্ধেই মামলা দায়েরের নির্দেশ দিলেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জেলা শিশু আদালতের বিচারকের নির্দেশে আদালতের পেশকার সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছু প্রয়োজনীয় সংশোধনের পরই মামলা রুজু করা হবে।

অভিযোগের ভূমিকায় থাকা আইনজীবী শেফাউল ইসলাম রিপন সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, মামলা দায়ের হলে তিনি আদালতেই তার জবাব দেবেন।

ঘটনার সূত্রপাত গত জুলাই মাসে। গাইবান্ধার আলোচিত হ্যাকার চক্রের মূল হোতা পলাশ রানাকে তার সহযোগীসহ গ্রেফতার করে কর্তৃপক্ষ। সরকারি ভাতা হ্যাক করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের জেলে পাঠানো হয়।

পরে আইনজীবী রিপন অন্য আদালতে জামিনের আবেদন ব্যর্থ হলে একটি শিশু আদালতে যান। সেখানে তিনি পলাশ রানার বয়স ১৭ বছর ৭ মাস দেখিয়ে একটি জাল জন্মনিবন্ধন সনদ জমা দেন। সেই ভুয়া কাগজের ভিত্তিতেই পলাশ রানা জামিন পেয়ে যান।

কিন্তু এই জালিয়াতি ধরা পড়ে যখন অন্য একজন আইনজীবী আদালতে পলাশের আসল বয়সের প্রমাণপত্র উপস্থাপন করেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ও মামলার অভিযোগপত্রে তার বয়স উল্লেখ ছিল ২৫ বছর। এই প্রমাণ পেয়ে শিশু আদালত পূর্বের দেওয়া জামিন আদেশ বাতিল করে এবং সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে।

এখন সেই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনায় আদালতের কার্যক্রমে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণার চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা হয়েছে।