Image description

নীলফামারীর সৈয়দপুরে তথ্য গোপন করে প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব পালনের অভিযোগ উঠেছে একটি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শিল্পী আক্তার। তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুর তুলশীরাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ২০২৪ সালের ৭ মে থেকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদে রয়েছেন।

 

 

ছেলে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হলেও প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন শিল্পী আক্তার।

শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, শিল্পী আক্তার দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বাংলা বিষয়ের একজন প্রধান পরীক্ষক।

এদিকে, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য উত্তরপত্র সরবরাহের আগে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের প্রতি জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষকের ছেলে মেয়ে ও পোষ্য ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অংশগ্রহণ করলে; প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করা যাবে না।

 
প্রধান পরীক্ষকের এমন কেউ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকে, তাহলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর জরুরি ভিত্তিতে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। 

 

অভিযোগ রয়েছে সৈয়দপুর তুলশীরাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ওই নির্দেশনা আমলে নেননি। তার (শিল্পী আক্তার) ছেলে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হলেও তিনি প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানায়, প্রধান পরীক্ষক শিল্পী আক্তারের ছেলে আবরার ফাহি শিশির।

 
সে চলতি ২০২৫ সালে নীলফামারীর ডিমলা নিজপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ডিমলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে। তার রোল নং-৯৫৩৩৮০। সেশন: ২০২৩-২০২৪। সে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।

 

এ নিয়ে সৈয়দপুর তুলশীরাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তারের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল ফোনে কালের কণ্ঠে এই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়।

 
তিনি প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষক সম্পর্কে শিক্ষা বোর্ডের একটি নির্দেশনা থাকার কথা অপকটে স্বীকার করেন। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো জটিলতা না হলে তাতে কোনো সমস্যা নেই বলে জানান তিনি। এরপর এ নিয়ে আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

 

বিষয়টি নিয়ে আজ দুপুরে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী মোবাইল ফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এমনটি হয়ে থাকলে ওই শিক্ষক প্রধান পরীক্ষক হতে পারেন না। হয়তো বিষয়টি গোপন করেছেন তিনি। বিয়য়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’