
চীন সফর শেষে গতকাল রাতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন।বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরন (আইএসপিআর) পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানাযায়।
সরকারি এই সফরকালে তিনি চীনের গণমুক্তি সেনাবাহিনী (পিএলএ) এর স্থল বাহিনীর রাজনৈতিক কমিশনার জেনারেল চেন হুইসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
গত ২২ আগস্ট তারিখে সেনাবাহিনী প্রধান পিএলএ সদর দপ্তরে পৌঁছালে তাঁকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং জেনারেল চেন হুই দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনে সহায়তা এবং বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা বিষয়ক আলোচনা করেন।
২৩ আগস্ট তারিখে সেনাবাহিনী প্রধান চীনের নরিনকো গ্রুপের সভাপতি চেন দেফাং-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত নরিনকো গ্রুপের বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামের আধুনিকায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং অন্যান্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান পিএলএ-এর সাঁজোয়া বাহিনী একাডেমির বেইজিং ক্যাম্পাসের প্রশিক্ষণ সুবিধা ও বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন গবেষণাগার পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে এই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাডেমিতে কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন।
সফরকালীন সময়ে তিনি বেইজিং ও শিয়াং-এ অবস্থিত নরিনকো গ্রুপের কারখানা ও গবেষণা কেন্দ্র, চায়না এয়ারোস্পেস লং-মার্চ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড এবং আইশেং ইউএভি কারখানাসহ আধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ২০ আগস্ট সরকারি সফরে চীন গমন করেছিলেন।