
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ৪৪তম বিসিএসে গত ৩০ জুন প্রকাশিত ফলাফলে সমপদে কিংবা পছন্দের তালিকার নিম্নতম পদে পুনরায় সুপারিশকৃতদের সুপারিশ বাতিল এবং পদগুলোতে উত্তীর্ণ অন্যান্য প্রার্থীর মেধাক্রম অনুসরণ করে ফের ফলাফল প্রকাশের জন্য করা আবেদন নিষ্পত্তি বিষয়ে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি রিট মামলার প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি আকরাম হোসাইন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এসময় আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস. এম. মাহিদুল ইসলাম সজিব।
এতে, ৪৪তম বিসিএসের নিয়োগে সুপারিশ প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পরবর্তীতে আবেদনকারীদের বিধি মোতাবেক উপযুক্ত ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে শূন্য সেই পদগুলোতে কেন নিয়োগ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
একই সঙ্গে রিট আবেদনকারীরা ৪৪তম বিসিএসের ফলাফলে সমপদে কিংবা পছন্দের তালিকার নিম্নতম পদে পুনরায় সুপারিশকৃতদের সুপারিশ বাতিল করে ফলাফল প্রকাশের যে আবেদন করেছেন, তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আবেদনকারীরা উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে ৪৪তম বিসিএসের ১৭১০টি ক্যাডার পদের বিপরীতে দেশের ইতিহাসে রেকর্ডকৃত ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫২৫৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মোট ১১৮০০ জন ভাইভাতে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
ক্যাডার ফলাফলে ১৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হলেও ভাইভার পূর্বে ক্যাডার চয়েস পূরণের সুযোগ না থাকায় পূর্ববর্তী বিসিএস পরীক্ষায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ৮০০ জন প্রার্থী ৪৪তম বিসিএসে সমপদে কিংবা পছন্দের তালিকার নিম্নতম পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। যাদের কারোরই সুপারিশপ্রাপ্ত পদে যোগদানের সম্ভাবনা নেই। ফলে মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষিত প্রার্থীদের বেকারত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এর আগে, গত ৩০ জুন ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশিত হলে রিটকারীরা ১৪ জুলাই বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর একই দাবিতে আবেদন করেন।
কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে, মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ক্যাডার পদে পদ শূন্য না থাকায় মনোনয়ন বঞ্চিত আফজাল হোসেনসহ অন্য আরো ১০ জন হাইকোর্টে এই রিট পিটিশনটি করেন।