
বিশ্ব অর্থনীতির ভারসাম্য দ্রুত এশিয়ার দিকে সরে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, এ পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) ও ব্রিকসসহ আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে সহযোগিতা আরও গভীর করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ক্রেমলিনের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার ১০ম পূর্ব অর্থনৈতিক ফোরামের অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন বলেন, “বিশ্ব অর্থনৈতিক কার্যক্রমের কেন্দ্র ক্রমশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সরে যাওয়ায় পারস্পরিক উপকারে আসতে পারে এমন সম্পর্ক গড়ে তোলার নতুন সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে। এটি শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, বরং এসসিও ও ব্রিকসের মতো বহুপাক্ষিক কাঠামোর ভেতর দিয়েও বাস্তবায়ন সম্ভব।”
আগামী ৩ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর ভ্লাদিভোস্তকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই ফোরাম। এবারের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘দূর প্রাচ্য: শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা’। ফোরামে ৩৬ দেশের প্রায় ৬ হাজার প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
ফোরামের কর্মসূচিতে সাতটি প্রধান বিষয়ভিত্তিক খণ্ডে মোট ৯০টি সেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০১৫ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে পূর্ব অর্থনৈতিক ফোরাম রাশিয়ার অন্যতম প্রধান বিনিয়োগ আহরণ ও কূটনৈতিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যে যখন পরিবর্তন আসছে, তখন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব আরও জোরদার করতে ফোরামটিকে কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে মস্কো।
বিশ্লেষকদের মতে, পুতিনের বার্তা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বৈশ্বিক অর্থনীতির ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই এশিয়ার হাতে। ফলে ভ্লাদিভোস্তক ফোরামের মতো উদ্যোগ শুধু রাশিয়ার জন্য নয়, বরং সমগ্র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।