
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। প্রথম পর্যায়ে একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা হবে। পরবর্তীতে আরও ফ্লাইট যুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
আজ (বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ভবন ও রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসব বিমানবন্দরের জমিতে অবৈধভাবে বসবাসরত লোকজন ও সচেতন জনসাধারণকে চলমান উন্নয়ন কাজে সহযোগিতারও আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপদেষ্টা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছেন। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের কর্মকর্তা, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি। পরে নির্মাণাধীন আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।
এসময় তিনি ভবনের অ্যারাইভাল হল এলাকা, চেক ইন কাউন্টার, প্রস্তাবিত ইমিগ্রেশন এলাকা, মেজানাইন, এলিভেশন এলাকাসহ নির্মাণাধীন বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। পরে তিনি বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়েতে যান।
টার্মিনাল ভবন পরিদর্শন শেষে দুপুর পৌনে ১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।
এসময় বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সম্প্রসারিত রানওয়ে ভবিষ্যতে এখানে বড় বড় বিমান অবতরণ করবে। ফলে ভবিষ্যতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে।’
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এরইমধ্যে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়েকে সম্প্রসারণ করে ১০ হাজার সাতশো ফুটে উন্নীত করা হয়েছে। নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন।