Image description

মব সন্ত্রাস করে সাংবাদিকদের মারধর করেছে পুলিশের কতিপয় সদস্য। এতে অন্তত ৬ সাংবাদিককে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।

 

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশ বক্সের ভেতর এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত সাংবাদিকরা হলেন- ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের সিনিয়র রিপোর্টার শিমুল পারভেজ ও নোমান মোশারফ, বাংলাভিশন টিভির কেফায়েত শাকিল, ইউটিউবভিত্তিক আইটিভির মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আলম। দৈনিক খোলা বাজার পত্রিকার সাংবাদিক রোজিনা বেগম, দৈনিক আমার সংগ্রাম পত্রিকার সাংবাদিক সপ্তমী মণ্ডল ঋতুসহ আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।

আহত সাংবাদিক কেফায়েত শাকিল যুগান্তরকে জানান, নিউ নেশনের শিমুল পারভেজ ও নোমান মোশারফকে পুলিশ সদস্যরা মারধর করছে দেখে ভিডিও করতে গেলে আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। ওই সময় মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট আলম ভিডিও করতে গেলে তাকেও মারধর করে পুলিশ সদস্যরা।

পরে বাংলাভিশনের ক্যামেরাম্যান আনোয়ার এগিয়ে গেলে তার সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যরা। পরে তারা শাকিল ও নোমানকে ছেড়ে দেয়।

ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে তিনি জানান, প্রেস ক্লাব থেকে মোটরসাইকেলযোগে রাস্তা পার হওয়ার সময় যানজটের ভেতর একটি কালো রংয়ের প্রাইভেটকারের সঙ্গে সাংবাদিক শিমুলের মোটরসাইকেলের সামান্য ঘষা লাগে। এতে উভয়পক্ষের বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রাইভেটকার আরোহীরা ওই সাংবাদিককে ঘুসি মারে এবং চাকু দিয়ে আঘাত করে। এ সময় প্রাইভেটকার চালক পুলিশ সদস্যদের ডেকে এনে ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করে। তখন পুলিশ সদস্যরাও মব করে সাংবাদিকদের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং টেনেহিঁচড়ে পুলিশ বক্সের ভেতরে এনে পুনরায় মারধর করে। তবে প্রাইভেটকারসহ আরোহীদের আটক করা হয়েছে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, পুলিশ সদস্যরা মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকদেরকে পিটিয়েছে।

এ ঘটনায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তির আওতায় আনতে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কঠোর কর্মসূচিতে দিতে বাধ্য হবে বলে জানান তিনি।