Image description

দীর্ঘ আড়াই বছর পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ১৫ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী শ্যামল কুমার নাথ।

তিনি বলেন, গত সোমবার রাত ৮ টার দিকে প্রথম চালানে ১৫ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজবোঝাই একটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আমদানিকৃত পেঁয়াজের মান পরীক্ষা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাগেরহাটের এসএম ওয়েল ট্রেডার্স এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন। এছাড়া কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পেঁয়াজের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার রাজন হোসেন।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছিল। পরে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে ভারত। বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিল। এতে করে পেঁয়াজ কিনতে নি¤œ আয়ের মানুষের গুনতে হচ্ছিলো অতিরিক্ত টাকা। অবশেষে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।

কাস্টমস সূত্র জানায়, প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৩০৫ ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা দেখিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে মানভেদে ৫৮ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে।