Image description

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমানের পেশাগত যোগ্যতা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার মধ্যে তার পক্ষে একগুচ্ছ যুক্তি তুলে ধরেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম। সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে শশুরের যোগ্যতা তুলে ধরে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন সারজিস আলম।

সারজিস আলম লেখেন, আমি যতদূর জানি আমার নিকটাত্মীয় ১৯৯১-৯২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ভর্তি পরীক্ষার মার্কসে তিনি ১ম স্থান অধিকার করেন। এসএসসি এবং এইচএসসির রেজাল্টসহ প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে সেই সেশনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় খ ইউনিটে ১৯তম স্থান অর্জন করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। 

তিনি লেখেন, আইন বিভাগ থেকে LLB ও LLM শেষ করে ১৯৯৮ সালে তিনি বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।  ২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগ উভয় বিভাগে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমার সাথে পারিবারিক সম্পর্কের পূর্ব থেকেই তিনি বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

তিনি বলেন, তার শতাধিক জুনিয়র সুপ্রিম কোর্ট‌ ও নিম্ন আদালতে আইন পেশায় প্রতিষ্ঠিত। তাছাড়া তিনি নবগঠিত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ কর্তৃক সকল যোগ্যতার শর্ত পূরণ করে যাবতীয় বাছায়ে উত্তীর্ণ হয়ে এই সম্মান অর্জন করেছেন।

শেষে তিনি উল্লেখ করেন, এখানে তার এই যোগ্যতা ও পরিশ্রমকে একপাশে রেখে আমার নাম টেনে নিয়ে আসা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়।

এর আগে, সোমবার (২৫ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৫ জনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এর মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলমের শ্বশুরও রয়েছেন। তিনি এতদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।