
গণ-অভ্যুত্থানের পরও পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী অন্তত ৫০ শতাংশ চিকিৎসক আছেন স্বাস্থ্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদে—এমন অভিযোগ রয়েছে। অনেকে বিভিন্ন পদে ছিলেন ১০ বছরের বেশি সময়। তাদের অসহযোগিতায় বর্তমান সরকারের সংস্কারকাজও ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বদলি করা হলেও অনেকে যোগ দেননি নতুন কর্মস্থলে। এসব বিবেচনায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
পেশাজীবী সংগঠনগুলো বলছে, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তাদের সরানোর সাহস ছিল না কর্মকর্তাদের। তবে এরই মধ্যে একাংশকে বদলি করা হলেও অনেকেই আছেন আগের পদে।
পেশাজীবীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ অর্ধেকের বেশি পদে এখনও বহাল আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসারীরা। পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার দাবি করে বিশেষ সুযোগও নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সুবিধাভোগী অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
চিকিৎসক সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল বলেন, ‘গত একবছরে মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫০ শতাংশ আওয়ামী লীগ দোসরদের বদলানো হয়নি। হাতেগোনা কিছু যারা শুধু গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে ছিল তাঁদের সরানো হয়েছে। ৫ আগস্টের পরে স্বাস্থ্য খাতে যেই সংস্কার-পরিবর্তন হওয়া দরকার ছিল সেটি হয়নি। কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে হয়নি। এখনও অনেক ইনস্টিটিউটে, অনেক বড় বড় জায়গায় আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে।’
অধিদপ্তর বলছে, এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি চিকিৎসককে ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও অনেকে যোগ দেননি। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ বলেন, ‘অনেকেই পদায়ন হওয়া জায়গায় যোগ দেননি, নির্লিপ্ত আছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আমাদের দৃষ্টিতে যেগুলো আনছেন, সেগুলো তদন্ত করে প্রশাসনিকভাবে মোকাবিলা করছি।’
সপ্তম ও নবম গ্রেডের চিকিৎসকদের বদলি ও পদায়নে নতুন নীতিমালা করেছে সরকার। এর ফলে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সহজ হবে বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।