
জুলাই সনদের আইনী সুরক্ষা সম্পর্কে বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটে যাওয়ার সুযোগ নেই। এত 'নোট অব ডিসেন্ট 'রেখে গণভোটে যাওয়ার প্রশ্নটাই অবান্তর।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, সংবিধান সভার নির্বাচনের প্রশ্নটাও অবান্তর। কারণ আমরা সংবিধানশুণ্য অবস্থায় নেই।বিদ্যমান সংবিধানের অধিনেই অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিয়েছে এবং দেশ পরিচালনা করে আসছে।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও জুলাই সনদ প্রনয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছে বিদ্যমান সংবিধানে ভিত্তিতে।
জুলাই সনদের আইনী সুরক্ষা প্রদানের বিষয়ে আমাদের অবস্থান ইতিবাচক। সবাই মিলে আলোচনা করে এ সম্পর্কে মতামত গঠন করা যেতে পারে।এব্যাপারে সনদ স্বাক্ষরের পর সরকার প্রধান সংবিধানের ১০৬ আর্টিকেল অনুযায়ী উপযুক্ত মাধ্যমে আপিল বিভাগের মতামত চাইতে পারেন।
সাইফুল হক বলেন , আগামী ফেব্রুয়ারীতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হলেও জনমনে নির্বাচন নিয়ে সংশয় কাটছেনা।
তিনি বলেন, অবাধ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরকারকে দ্রুত যাবতীয় পক্ষপাতদুষ্টতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।বিতর্কিত উপদেষ্টাদের দ্রুত প্রত্যাহার করে প্রয়োজনে উপদেষ্টামন্ডলী পুনর্গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত যেতে হলে সরকারের মধ্যে থাকা 'সরকারগুলো' অবিলম্বে ভেংগে দিতে হবে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সমগ্র প্রশাসনকে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন সরকারের কার্যকরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। সমগ্র প্রশাসনকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে ঢেলে সাজানো সাজাতে হবে। সরকার, প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হলে নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, দলীয় এজেন্ডার কারণে ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন কোন কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়লে বাংলাদেশের বিদ্যমান নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও আরও বৃদ্ধি পাবে এবং সে রকম পরিস্থিতিতে আম - ছালা দুটোই চলে যেতে পারে।তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ, সজীব সরকার রতন, কেন্দ্রীয় সদস্য ফিরোজ আলী, কেন্দ্রীয় সংগঠক বাবর চৌধুরীসহ পার্টির মহানগর নেতৃবৃন্দ।