Image description

গত ১৫ বছর হাঁকডাকে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। স্বৈরাচার হাসিনার দফতরসহ সর্বত্রই ছিল তার নাম। নিজেকে জাহির করতেন দেশসেরা চিকিৎসক। যদিও বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ওই চিকিৎসকের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। পেশায় সাংবাদিক সাজ্জাদ মাহমুদ খান নামে এক ভুক্তভোগী ফেসবুকে সম্প্রতি তাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেনÑ ‘এক নামকরা ডাক্তারকে দেখাতে গিয়েছিলাম রাজধানীর একটি দামি হাসপাতালে। রাত সাড়ে ১১টা থেকে ডাক্তার সাহেব রোগী দেখা শুরু করলেন। আমি সমস্যার কথা বলা শুরু করতেই তিনি একের পর এক টেস্টে টিক দিতে লাগলেন। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে টেস্টের তালিকা থেকে ১৫-২০টিতে টিক মারলেন। তারপর এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিল বসিয়ে দিলেন।’ একই সঙ্গে আগে থেকেই জানতাম ওই সেন্টারে ‘বালতি টেস্ট’ হয়। মাথা গরম হয়ে গেল। ডাক্তারের সামনেই প্রেসক্রিপশন ছিঁড়ে ভিজিট দিয়ে চলে আসি। পরে অবশ্য সাজ্জাদ মাহমুদ খান প্রফেসর ডা. খান আবুল কালাম আজাদের কাছে গিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পান। তিনি ধৈর্য ধরে তার সঙ্গে কথা বললেন, ‘সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। বললেন, টেনশন কমান, ভালো ঘুমান। ঘুম ঠিক হলে অনেক সমস্যাই নিজে থেকেই সেরে যাবে। আমি জোর করায় তিনি অল্প কয়েকটি টেস্ট লিখে দিলেন। কিছু হালকা ওষুধ দিলেন। কিন্তু বড় কথা, চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপেই ৯০ শতাংশ সুস্থ হয়ে গেলাম।’ এটা দেশের অধিকাংশ চিকিৎসকের টেস্ট বাণিজ্যের বাস্তব চিত্র। অথচ দেশের চিকিৎসকরাই বিশ্বের অন্যান্য দেশে একেকজন বিখ্যাত। মহামারি করোনার সময়েও দেখা গেছে, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সাফল্য। যদিও বাংলাদেশের সব চিকিৎসকই এভাবে টেস্টের নামে বাণিজ্য করেন না। বা সেবার নামে মানুষের গলা কাটেন না। একই চিকিৎসক যখন বিদেশে সেবা দিচ্ছেন তিনি রোগীর সঙ্গে ভিন্ন ব্যবহার করছেন। একাধিক রোগী জানান, একজন চিকিৎসকের রোগীর সঙ্গে আচরণ, সময় দেয়া এবং আতিথেয়তায়ই অনেকের রোগ ভালো হয়ে যায়। বাংলাদেশে এখনো চিকিৎসক-রোগীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর অভাব রয়েছে। অনেক চিকিৎসক তো রোগীর সঙ্গে কথা না বলেই সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পরীক্ষা ও ওষুধের বড় একটি তালিকা ধরিয়ে দেন। আর এ জন্যই অনেক রোগী সামর্থ্য না থাকলেও বিদেশে সেবা নেন। যদিও সব চিকিৎসক এক নয়; এখনো অনেকে সেবাকে ইবাদত হিসেবে নেন।

সম্প্রতি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হিস্টোপ্যাথলজি টেস্টের নামে রোগীর কাছ থেকে প্রথমে দেড় হাজার টাকা। পরে এই টেস্টের জন্য গলার ভেতরে থাকা টিউমার থেকে দূষিত লিক্যুইড বের করতে অপারেশনের নামে ৬০ হাজার টাকা নেয়া হয়। অথচ এই অপারেশন ও টেস্ট করাতে এই হাসপাতালেই সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ হাজার টাকা নেয়া হয়। আব্দুল খালেক (৭০ বছর) গ্রামের খেটে খাওয়া এই ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। যদিও একজন সচেতন সাংবাদিকের পরিচিত হওয়ায় এবং তিনি এই চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন হওয়ায় এত টাকা কেন লাগছে খোঁজখবর নেন। পরে জানতে পারেন, অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। যদিও ওই সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে অবশ্য হসপিটাল থেকে ওই রোগীকে ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হয়।

স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে। অথচ অর্থনৈতিক বৈষম্যের পরই দেশের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যখাতের বৈষম্য। চিকিৎসকের কাছে গেলেই দেয়া হয় একাধিক পরীক্ষা। আবার বেশি পরীক্ষার ফলই আসে ভুল। দেশে প্রতি বছর চিকিৎসার পেছনে রোগীদের যত অর্থ ব্যয় হয়, তার বড় অংশই যায় রোগ নির্ণয়ে। এসব রোগ নির্ণয়ের বেশির ভাগই হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, যেখানে সরকারি হাসপাতালের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি অর্থ খরচ হয়। এ তথ্য খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের। আর এই অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে চিকিৎসকদের অনৈতিক সুবিধা গ্রহণকে। সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ার পরও বর্তমানে দেশের ৮৫ শতাংশ রোগী বেসরকারি চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল। দেশের সরকারি হাসপাতালের ২০-২৫ শতাংশ চিকিৎসক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রোগী পাঠিয়ে বিশেষ সুবিধা নেন। এ কাজে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে কনসালট্যান্ট, সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকরা। তবে প্রফেসর ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনেকে এড়িয়ে যান। দেখা গেছে, যত বড় নামকরা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসকদের কমিশন প্রদানের হার তার তত বেশি। এ অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকরা লাভবান হলেও চিকিৎসার উচ্চ ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতি বছর দারিদ্র্যসীমায় চলে যাচ্ছে অন্তত ৬২ লাখ মানুষ।

এদিকে দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক বা স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত কোম্পানি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সুবিধা যেমনÑ বাড়ি, গাড়ি, অর্থ ইত্যাদি দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। ঈদ, পূজা, পহেলা বৈশাখে উপহার হিসেবে দেয়া হয় মোবাইল, ফ্রিজ, টিভি, ওভেন, কম্বল, সোফা সেট, ডিনার সেট, শাড়ি, পাঞ্জাবি, গিফট ভাউচার ইত্যাদি। যাতে সেসব চিকিৎসক তাদের কোম্পানির ওষুধ বা সেবার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং রোগীদের সেসব ওষুধ বা সেবা ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করেন। এটি এক ধরনের অনৈতিক এবং বেআইনি কার্যকলাপ, যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও আস্থার অভাব তৈরি করে। আর এসব কারণেই রোগীদের অনর্থক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে দেয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে চিকিৎসকদের সম্প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, অনেক চিকিৎসক অনর্থক টেস্ট দেন। এ অত্যাচার বন্ধ হয়নি। গরিব রোগীদের অনর্থক ১৪-১৫টি টেস্ট দেয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করা দরকার। চিকিৎসা খাতে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলারের একটি বাজার আছে। এ বাজার আপনাদের নেয়া উচিত। কেন মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চায়? ভারত, ব্যাংককে এমন মানুষও চিকিৎসা নিতে যায়, যারা কখনো ঢাকায় আসেনি। তারা বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে যায়। দেশে সেবা পেলে মানুষ কখনোই বিদেশ যাবে না।
বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কথা বলেন আসিফ নজরুল। তার এই কথার পর দেশের চিকিৎসক সমাজ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন। নিন্দা প্রকাশ করেন। তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন। অথচ তিনি যে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন তা সঠিক। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা আগামী দিনে নিজেদেরকে আরো সচেতন না করেই আসিফ নজরুলের সমালোচনায় মেতে উঠেছেন।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের তথ্য মতে, দেশে চিকিৎসা ব্যয় মেটানোর কারণে প্রতি বছর জনসংখ্যার ৩ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায়। সংখ্যায় তা অন্তত ৬২ লাখ। মানুষের পকেট থেকে চলে যাচ্ছে মোট স্বাস্থ্যব্যয়ের ৭৩ শতাংশ অর্থ। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় ওষুধ এবং পরীক্ষানিরীক্ষার পেছনে। রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার ফি সরকারি হাসপাতালে কম হলেও বেসরকারি পর্যায়ে তা কয়েকগুণ বেশি। যদিও সরকারি হাসপাতালে অধিকাংশ পরীক্ষাই হয় না।

এদিকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশন ইতোমধ্যে তাদের প্রতিবেদনে সংবিধান সংশোধন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছে এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে দেয়ার সুপারিশ করেছে। রোগী সুরক্ষা, আর্থিক বরাদ্দ, জবাবদিহিতা ও জরুরি প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব আইন পর্যালোচনা ও যুগোপযোগী করার সুপারিশ এনেছে কমিশন। স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য সাশ্রয়ী, মানসম্মত এবং সহজলভ্য করতে সব ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলেছে কমিশন।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালে চিকিৎসার পেছনে মানুষের পকেট থেকে চলে যেত ৫৫ দশমিক ৯ শতাংশ অর্থ। সেটি বেড়ে ২০২০ সালে হয়েছে ৬৮ শতাংশ, সর্বশেষ ২০২১ সালের হিসাবে সেটি আরো বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ শতাংশে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে স্বাস্থ্যখাতে ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যয় সবচেয়ে বেশি আফগানিস্তানে ৭৭ দশমিক ২০ শতাংশ। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩ শতাংশ। এছাড়া পাকিন্তানে ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, নেপালে ৫১ দশমিক ৩০, ভারতে ৪৯ দশমিক ৮০, শ্রীলঙ্কায় ৪৩ দশমিক ৬০, ভুটানে ১৮ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম খরচ হয় মালদ্বীপে ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ অর্থ।

রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার ফি এক রকম নয়। রাজধানী এবং রাজধানীর বাইরের এলাকাভেদে এই মূল্যের তারতম্য দেখা যায়। কোথাও কোথাও একই পরীক্ষার মূল্য ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত পার্থক্য দেখা যায়। তাই রোগীদের দাবি, এসব মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হোক।
রাজধানীর বাসিন্দা আতাউর রহমান ইমরান জানান, একেক হাসপাতালে পরীক্ষার মূল্য একেক রকম। কোথাও কম আবার কোথাও বেশি। এটা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত সরকারের।

যদিও মহামারি করোনার সময়ে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসা ব্যয় সাধারণের নাগালে রাখার লক্ষ্যে অতি জরুরি ও প্রয়োজনীয় ১০টি পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই সময়ে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য কিছু সাধারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

এদিকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের অবস্থান এবং অবকাঠামোগত কারণেও বিভিন্ন পরীক্ষার চার্জ কমবেশি হয়ে থাকে। এছাড়া এই খাতে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যও আছে। তারা নির্ধারণ করে দেয়, কত রেটের নিচে পরীক্ষা করা যাবে না। তবে কত বেশি নেয়া যাবে তা নির্ধারণ করা হয় না। এছাড়া পরীক্ষার মূল্যের সঙ্গে চিকিৎসকদের একটা কমিশনের বিষয় তো আছেই।

অবশ্য চিকিৎসক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে টেস্টের নাম লিখে নির্দিষ্ট ডায়াগনোস্টিক সেন্টার লিখে দেয়। ওই সেন্টারে তার নামে একটি কোড আছে। এই কোডে যত টেস্ট করা হবে তার কমিশন পাবেন ওই চিকিৎসক। যদিও অনেক রোগী অন্য কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে নিয়ে এলেও বিড়ম্বনায় পড়েন। এক্ষেত্রে চিকিৎসক অধিকাংশ সময়ে ওই রিপোর্ট গ্রহণ করেন না অথবা রোগীকে আবার টেস্ট করাতে বলেন যা রোগীর জন্য ডাবল খরচ। তাই রোগীরা বাধ্য হয়েই ডাক্তারের নির্ধারিত ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে গিয়েই পরীক্ষা করান।

পরীক্ষা ফি ও স্বাস্থ্য ব্যয় কমানো এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাসের বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, জনগণকে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাজেটে দেশের জিডিপির অন্তত ৫ শতাংশ ব্যয় করার সুপারিশ রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই বরাদ্দ মোট বাজেটের ১০ শতাংশে রাখা প্রয়োজন। কারণ এখন ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপে ভোগা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর ব্যয় কমাতে রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধে নজর দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে দেশের সব বেসরকারি হাসপাতালে রোগ নির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে।’ দীর্ঘ ১৩ বছর থেকে আলোচনা ও গবেষণা চলছে এবং স্টেকহোল্ডারদের সাথে একাধিক বৈঠক হয়েছে। বর্তমানে আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চূূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আইনটি পাস হচ্ছে না।