
ভারতের মেঘালয়ে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক মো. আকরাম হোসেনের (৩০) মরদেহ সাত দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আকরামের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ভারতীয় স্থানীয় পুলিশ, কলমাকান্দা থানা পুলিশ এবং নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত আকরাম শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাঁকাকুড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিন পাগলার ছেলে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস জেলায় গত ১০ আগস্ট আকরাম অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অপহরণের চেষ্টায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এ সময় তাদের গণপিটুনিতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
মেঘালয় পুলিশ এ ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশি পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করে। পরবর্তী সময়ে ভারতীয় পুলিশ লাশটি বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। বিএসএফ ও বিজিবির সমন্বয়ে লাশটি কলমাকান্দা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত আকরামের ভাই শেখ ফরিদ বলেন, ‘আমার ছোট ভাই আকরাম হোসেনের মৃত্যুর খবর আমি প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি। খবর পাওয়ার পর থেকেই আমি বিজিবি ও ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। যেন আমার ভাইয়ের লাশ দ্রুত বাংলাদেশে আনা যায়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লাশ দেশে ফেরানো হয়েছে। এ জন্য বিএসএফ, বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ। মা শোকে ভেঙে পড়েছেন। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, যেন আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আমার ভাইয়ের লাশ দ্রুত আমাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে, সেদিকে সবার দৃষ্টি থাকে।’
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‘বিএসএফ ও বিজিবির সমন্বয়ে নিহত বাংলাদেশির লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’