Image description

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় নেশাগ্রস্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এদিকে ঘটনার পর থেকে বাবা পলাতক।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার চামারি ইউনিয়নের মহিষমারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩০) ওরফে শরিফুল ওই এলাকার শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ আলীর ছেলে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার সাবান আলী সংশ্লিষ্ট পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানান, বাবা শহিদ আলী পেশায় গাছ ও কাঠ ব্যবসায়ী। তার তিন ছেলের মধ্যে শরিফুল বড়। শরিফুলের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে চুরি, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, পুকুরের মাছ চুরি, মানুষকে ধারালো চাকু দেখিয়ে ছিনতাই, গাছের ফল চুরিসহ নানা অভিযোগে অতিষ্ঠ ছিলেন বাবা-মা। এ পর্যন্ত তিনটি বিয়ে করলেও তার আচরণে কেউ থাকেনি। তাকে শাসন করতে গেলেও কারো কথা শোনে না উপরন্তু বাবা-মা-ভাইদেরও তাড়িয়ে বেড়াতেন।  

ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি জানান, শনিবার বিকেলে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন শফিকুল। ওই সময় নানা অভিযোগ নিয়ে কথা বললে উত্তেজিত হয়ে তিনি বাবা-মা-ভাইদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে সবাই বাড়ি থেকে চলে যান। তার মা ছোট ছেলেকে নিয়ে একই এলাকায় তার নানার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে রাগে বলতে থাকেন- ওই ছেলের মৃত্যুর খবর পেলেই তিনি বাড়ি ফিরবেন, নইলে নয়। মেজ ছেলে আর তার বাবাও বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে শরিফুল ঘরে ঘুমিয়ে গেলে বাড়ি ফিরে বাবা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাড়ে উপর্যুপরি আঘাত করে চলে যান। রাতে ছোট ছেলে নানির বাড়ি থেকে চুপিচুপি বাড়ি ফিরে বড় ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ দেখে গিয়ে মাকে জানায়। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে মা পৌঁছে চিৎকার আর কান্না করতে থাকলে সবাই জানতে পারেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নিহতের ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কয়েকটি আঘাত দেখা গেছে। 

 

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই নিহত যুবকের বাবা পলাতক। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।