Image description

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনে অংশ না নিলে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস দায়িত্ব ছাড়তে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এমন শঙ্কার কথা জানান।

টকশোতে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগ যেমন ২০১৮ এবং ১৯৭৩ সালে একতরফা, অরাজক নির্বাচন করেছে, এবারের নির্বাচনও তেমন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তারা প্রতিটি আসনে পূর্ণ প্রার্থী দিতে পারছে না, যা তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এনসিপির কোনো কোনো নেতা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা তারা দেখছেন না।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, জামায়াত এবং চরমোনাই হচ্ছে বিএনপির পরে সবচেয়ে বড় দুটি দল। তারা যদি পিআরের বিষয়ে খুবই স্ট্রংলি থাকে যে, আমরা সংসদে পিআর চাই। উচ্চকক্ষ না হলে এখন যেভাবে আছে সেই সংসদেই পিআর হবে এবং তারা যদি এই ইস্যুতে নির্বাচন বয়কট করে; এনসিপি নিম্নকক্ষে পিআর চায়নি, তারা যদি সংস্কার এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির ব্যাপারে এডামেন্ট থাকে; তাহলে আলটিমেটলি যেটা হবে সেটা একতরফার দিকে চলে যাবে। তখন সরকারের সামনে এবং বিএনপির সামনে অপশন থাকবে যে, বিএনপি এখন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা যাদের আসন দেওয়া-নেওয়া করছে তারা বিরোধী দলে চলে যাবে। এরকম একটা অপশন হবে। কিন্তু সেটা আদৌ দেশের জন্য, বিএনপির জন্য সম্মানজনক হবে কিনা?

 

তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস ইতোমধ্যে কয়েকবার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এমন পরিস্থিতিতে তিনি হয়তো নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন।