Image description

লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ আন্দোলন অস্ত্র সমর্পণ করবে না। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, নিরস্ত্রীকরণে বৈরুত সরকারের সিদ্ধান্ত দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

শুক্রবার আরবাইনের উপলক্ষে দেওয়া বক্তৃতায় কাসেম বলেন, দখলদারিত্ব ও আগ্রাসন চলমান থাকলে প্রতিরোধ কখনোই হাত থেকে অস্ত্র ফেলবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে আধুনিক যুগের ইয়াজিদ আখ্যা দিয়ে তিনি মিথ্যার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

লেবানন মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক নিরস্ত্রীকরণ সিদ্ধান্তকে তিনি “আমেরিকান নির্দেশ বাস্তবায়ন ও ইসরায়েলি প্রকল্পের সেবা” হিসেবে উল্লেখ করেন। কাসেম বলেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেবে এবং প্রতিরোধযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে হত্যা ও বাস্তুচ্যুত করার সুযোগ তৈরি করবে।

তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আমরা সংঘাত চাই না, কিন্তু কেউ কেউ এর দিকে দেশকে ঠেলে দিচ্ছে। যদি মুখোমুখি সংঘর্ষ চাপিয়ে দেওয়া হয়, আমরা প্রস্তুত। সেনাবাহিনীকে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়ানো থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানান তিনি।

কাসেম আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত লেবাননের সংবিধান ও পারস্পরিক সহাবস্থানের চুক্তি লঙ্ঘন করে। তিনি জানান, হিজবুল্লাহর অস্ত্রের বৈধতা এসেছে তাইফ চুক্তি ও শহীদদের রক্ত থেকে, সরকারের অনুমোদন থেকে নয়।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম সেনাবাহিনীকে বছরের শেষ নাগাদ রাষ্ট্রের বাইরে অন্য সব অস্ত্র সীমিত করার পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন, যা কার্যত হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার উদ্যোগ। পরবর্তীতে মন্ত্রিসভা মার্কিন প্রস্তাবের লক্ষ্যসমূহ সমর্থন করে।

একজন লেবাননি আইনজীবী এ সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও রাষ্ট্রদ্রোহ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি ইসরায়েলের স্বার্থে নেওয়া হয়েছে।


সূত্র: প্রেস টিভি