
দেশে নির্বাচন পরিচালনার জন্য যতগুলো আইন রয়েছে, তার মধ্যে মূল আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও। ১৯৭২ সালে প্রণীত এই আদেশে এর পর থেকে একাধিকবার সংশোধন আনা হয়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলে আবারও এই আদেশ পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। সোমবার আরপিও সংশোধনী চূড়ান্ত করেছে কমিশন, যার অনেক ধারাই আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তন করেছে।
নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, এর ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পথ মসৃণ হবে।
তবে নির্বাচন বিশ্লেষক জেসমিন টুলির মতে, ‘না’ ভোট বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে, যদিও এর সফলতা নির্ভর করছে বাস্তবায়নের ওপর। তিনি বলেন, “সাধারণ নির্বাচনে ব্যালট পেপারে এক অংশের জন্য ‘না’ ভোট থাকবে, আরেক অংশের জন্য থাকবে না—এতে অনেকে বিভ্রান্ত হবে। ‘না’ ভোট থাকলে জানা মাত্র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার কথা যেসব প্রার্থীর, তাদের বিপক্ষে এক বা একাধিক ‘ডামি’ প্রার্থী দাঁড় করানো হতে পারে। এতে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনী পরিবেশ এমন হওয়া উচিত যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি হয় এবং প্রার্থীরা নির্ভয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন।