Image description

চট্টগ্রামে রেললাইনে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। গত এক বছরে জেলাজুড়ে রেললাইনে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ১৬০ জন। লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যানের অভাব, জনগণের অসচেতনতা, রেললাইনের পাশে অবৈধ স্থাপনা এবং দুর্বল সমন্বয়ের মতো অনেক কারণকে এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মনে করছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলা পুলিশের আওতাভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে কমপক্ষে ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৮৩ জন, লাকসামে ৭৩ জন এবং চাঁদপুরে ছয়জন। এ ছাড়া গত ১০ বছরে সারা দেশে রেললাইনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন ৯ হাজার ২৩৭ জন। গত তিন বছরে প্রতিদিন গড়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান তিনজন।

রেলওয়ে কর্মকর্তাদের দাবি, রেললাইনের পাশেই বাজার, দোকান এবং বাড়িঘর গড়ে উঠেছে। ফলে শিশুসহ সবাই লাইনের ওপর দিয়ে হাঁটে, আড্ডা দেয়। এমনকি চলন্ত ট্রেনে ওঠা বা নামার চেষ্টা করে। এসব কারণে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ে এবং রেলওয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্ঘটনা ঘটলে তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিগুলো প্রতিবেদনে ঘুরেফিরে একই কারণ দাখিল করে। দুর্ঘটনার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্রুত রেলক্রসিং পার হওয়া, রেললাইনের ওপর বসা বা চলাচল, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া এবং রেললাইনে হত্যা ও আত্মহত্যা। এ ছাড়াও লেভেল ক্রসিংয়ে পর্যাপ্ত গেটম্যানের অভাব, সংকেত অমান্য করা, বাংলাদেশ রেলওয়ে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের মধ্যে দুর্বল সমন্বয় ও ইঞ্জিনের প্রযুক্তিগত ত্রুটিসহ অন্য অনেক বিষয় রয়েছে।

রেলওয়ে পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার সাকিলা সুলতানা বলেন, রেললাইনে মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে অসতর্কতা এবং রেললাইনের পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস। সচেতন না হওয়া অবধি রেললাইনে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যাবে না। সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে পুলিশ।