
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার (১১ আগস্ট) তিন দিনের সরকারি সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। আগামী ১২ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে মূল প্রাধান্য পাবে অভিবাসন। একইসঙ্গে বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হবে। তবে এবারের সফরে মূল প্রাধান্য অভিবাসনকেন্দ্রিক বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সচল করতে প্রধান উপদেষ্টার এই সফর বলে ধারণ সংশ্লিষ্টদের। তবে শ্রমবাজার খোলার ক্ষেত্রে ‘সিন্ডিকেট’ ইস্যু নিয়েও আছে শঙ্কা।
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের প্রশিক্ষণ চালু
গত বছরের ৩১ মে বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রবেশের শেষ সময় ছিল। এরপর ১ জুন থেকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। এত প্রায় ১৭ হাজার কর্মী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও সেদেশে যেতে পারেননি। এসব কর্মীর অনেকেই এখন পর্যন্ত তাদের অর্থ ফেরত পাননি। তবে আশার কথা হচ্ছে, এসব কর্মীর মধ্যে ৭ হাজার ৯২৬ জনের তালিকা অনুমোদন করেছে মালয়েশিয়া। প্রথম ধাপে এসব কর্মীকে সে দেশে বিভিন্ন খাতে নিয়োগ করা হবে। এই কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)।
বোয়েসেল সূত্রে জানা যায়, গত জুলাই থেকে মালয়েশিয়ার অনুমোদিত তালিকা থেকে প্রথম ধাপে কর্মীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘মালয়েশিয়ায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজের সুযোগ পেতে আগামী ২৭ জুলাই সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একইসঙ্গে যেকোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হলো।’
বোয়েসেলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রাথমিক তালিকা থেকে বিএমইটিতে নিবন্ধিত কর্মীর নম্বরে এসএমএস দেওয়া হয়েছে। তাদের নিকটবর্তী কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। শুধু নির্মাণ খাত না , সেবা খাতেও কর্মীর কোটা আছে। তবে কবে নাগাদ কর্মীরা মালয়েশিয়া যাওয়া শুরু করবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করে রাখছি।
শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট নিয়ে শঙ্কা
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বরাবরই আলোচনায় ছিল সিন্ডিকেট। ২০০৮ সালে বন্ধ হয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, আট বছর পর তা চালু হয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর দুর্নীতির অভিযোগে ফের ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর নতুন সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে সেই বাজার খুলতে সময় লেগেছিল তিন বছর। ২০২২ সালের আগস্টে দেশটিতে আবারও বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া শুরু হয়। এরপর ২০২৪ সালের ১ জুন থেকে পুনরায় এই শ্রমবাজার বন্ধ হয়। অভিযোগ আছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রিত হয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। অভিবাসন ব্যয়ের আড়ালে বিপুল পরিমাণ অর্থ চলে যায় সিন্ডিকেটের পকেটে। তাই সিন্ডিকেটমুক্ত শ্রমবাজার চান জনশক্তি রফতানিকারকদের একাংশ।
গত ৭ আগস্ট জনশক্তি রফতানিকারকদের একটি অংশ উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছে সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে, যার ফলে হাজার হাজার গরিব, নিরীহ কর্মী শোষণের শিকার হন এবং জাতীয় ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে গঠিত এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে ছিলেন বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন ও দাতোশ্রী আমিন নূর এবং তাদের সঙ্গে আরও সংশ্লিষ্ট ছিলেন সাবেক সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের তৈরি সিন্ডিকেটটি মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদা সংগ্রহ করে, যা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও দেশীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন থানায় মামলা চলমান এবং দুদক ও সিআইডি'র তদন্তাধীন রয়েছে।
জনশক্তি রফতানিকারকরা দাবি করেন, মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর জন্য লাইসেন্স অন্তর্ভুক্তির কোনও ক্রাইটেরিয়া বা স্বচ্ছতা ছিল না। বরং সিন্ডিকেট চক্র ৫-৭ কোটি টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স যুক্ত করেছিল। প্রত্যেক কর্মীর কাছ থেকে সিন্ডিকেট ফি বাবদ অতিরিক্ত আদায় করেছিল এক লাখ ৫২ হাজার টাকা। মেডিক্যাল চেকআপ বাবদ কমিশন নিয়েছিল কর্মীপ্রতি ৩ হাজার টাকা। ফলে অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ও দুই দেশের সুনাম নষ্ট হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিক, ছবি: সংগৃহীত তাদের মতে, অনিয়ম, দুর্নীতি ও টাকা পাচার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শ্রমবাজার বারবার বন্ধ হয়েছে। যেসব নিয়োগকর্তা বিনা খরচে কর্মী নিতে চেয়েছিলেন, তারা সিন্ডিকেট ফি’র কারণে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে পারেননি। এই সংখ্যাও প্রায় লাখেরও বেশি।
বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. ফখরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গতবারের সমঝোতা পরিকল্পিতভাবে সই করা হয়েছে, যাতে মালয়েশিয়া সরকার নিজের ইচ্ছামতো রিক্রুটিং এজেন্সি নির্বাচন করতে পারে। অথচ মালয়েশিয়া অন্য ১৪টি দেশ থেকে কর্মী নিয়ে আসে, সেখানে এরকম কোনও শর্ত নাই। বাংলাদেশ ৭৬টি দেশে কর্মী পাঠায়, কোথাও কিন্তু এ ধরনের শর্ত নাই। বিগত সময়ে মন্ত্রী সিন্ডিকেট এবং নিজের স্বার্থ দেখেছেন। সেজন্য আমরা বলতে চাই—গুটিকয়েক ব্যক্তিকে এই সুযোগ দিয়ে ২৫০০ এজেন্সির মধ্যে ২৪০০ এজেন্সি এই বাজারে কাজ করতে পারে নাই। যদি এরকম হতো, ওই ১০০ এজেন্সির মাধ্যমে কর্মীরা গিয়ে কাজ করেছেন, অল্প টাকায় যেতে পেরেছেন, তাহলে আমাদের কোনও কথা থাকতো না। কর্মীরা যাওয়ার পর সমস্যা হয়েছে, অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়েছে।
২০২১ সালের চুক্তি: ‘সিন্ডিকেট’ করার শর্ত
চার বছর আগে ২০২১ সালে মালয়েশিয়ার সঙ্গে নতুন শ্রমচুক্তি সই হয়। সেই চুক্তির মেয়াদ আছে পাঁচ বছর। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। এসব খরচের মধ্যে কর্মীর জন্য রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, তাকে মালয়েশিয়ায় আনা, আবাসন, কর্মে নিয়োগ ও কর্মীর নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে সেই শর্ত অনুযায়ী, বিনা অভিবাসন ব্যয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়া কর্মীর সংখ্যা খুবই কম। বেশির ভাগ কর্মী ৪-৫ লাখ টাকা, আবার কেউ কেউ ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করে সে দেশে গেছেন। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়। তবে খুব বেশি হারে কর্মী পাঠাতে পারেনি বোয়েসেল।
চুক্তিতে আরও ছিল, মালয়েশিয়া সরকার রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা নির্ধারণ করে দেবে। আর এই শর্তে কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট তৈরি করার অভিযোগ ওঠে। চুক্তির সময় মালয়েশিয়া সরকার ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি নির্ধারণ করে দেয়। পরে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১০০টিতে। অথচ দেশে নিবন্ধিত রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি।
২০১৮ সালে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়ার সরকার। যে ১০টি এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল—তার মধ্যে ৫টি এজেন্সির নাম ছিল ২০২১ সালের চুক্তির পর নতুন করে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকাতেও। এরপর একে একে নির্ধারিত রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা দাঁড়ায় ১০১টিতে।
গত ২১ মে ঢাকায় মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তখন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জানান, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের নেওয়া হবে বোয়েসেলের মাধ্যমে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে প্রায় ৮ হাজার কর্মী বোয়েসেলের মাধ্যমে পাঠানোর প্রক্রিয়াটি দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেশি সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি থাকায় মালয়েশিয়া সরকার সীমিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিতে আগ্রহী। তাই আজকের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং এ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রয়োজনে সমঝোতা স্মারক সংশোধন করার আলোচনা হবে।
গত ২ জুলাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাপানের শ্রম বাজার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘মালয়েশিয়ার সঙ্গে আগের সরকার চুক্তি করে রেখেছে—‘তোমরা রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা দেবা আমরা নির্ধারণ করবো।’ এটা দুইপক্ষের আনুষ্ঠানিক চুক্তি। যেটাকে আমরা সিন্ডিকেট বলি। এখন আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি—তখন আমাদের সবাই বলছে, সিন্ডিকেট করা যাবে না। এখন সিন্ডিকেট না করতে হলে চুক্তি পরিবর্তন করতে হবে। সেটা তো আপনার মালয়েশিয়া সরকারকে পিটিয়ে করতে পারবো না। এখন তাদের সঙ্গে আমার সমঝোতা করতে হবে।’’
ঢাকা সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম
তিনি বলেন, ‘‘এখন আমি যদি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লোক পাঠাই, তাহলে সবাই বলবে—আমি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। আবার যদি কর্মী না পাঠাই, তাহলে আমার ৪০ হাজার কর্মী যেতে পারবে না। এটা মালয়েশিয়া মনে রাখবে। এর ফলে পরবর্তী সময়ে আমাদের এক-দুই লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’’
মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘এটা তো ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে করা হয়েছে। এতে ব্যাপক দুর্নীতির সুযোগ করা হয়েছে। তারা যে চুক্তি সই করে গেছে, সেই চুক্তি আমাদের ওপর এক ধরনের বোঝার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এটাকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি।’’
মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ নিয়ে যা বলছে বাংলাদেশ হাইকমিশন
গত বছরের মে মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যেতে না পারা কর্মীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া। গত ১ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত বছরের ৩১ মে-র মধ্যে যারা মালয়েশিয়ায় আসতে পারেননি, তাদের মধ্য থেকে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়া সরকার নির্মাণ (কনস্ট্রাকশন), পর্যটন (ট্যুরিজম) খাতে এসব কর্মীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
‘পর্যটন খাতের কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চাহিদাপত্র (ডিমান্ড লেটার) সত্যায়নের জন্য সংযুক্ত চেকলিস্ট অনুযায়ী সব তথ্য দেশটির এফডব্লিউসিএমএসের (ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) অনলাইন পোর্টালে দাখিল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
‘আর নির্মাণ খাতের কর্মীদের সব আবেদন দেশটির কন্সট্রাকশন লেবার এক্সচেঞ্জ সেন্টার বেরহাদের (সিএলএবি) মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য এফডব্লিউসিএমএসের পোর্টালে দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া এফডব্লিউসিএমএসের পোর্টালে দাখিল করা সব তথ্যের মূল কপি এবং এক সেট ফটোকপি বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
মালয়েশিয়ায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মূল ফোকাস শ্রমবাজার
প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের সঙ্গে আগামী ১২ আগস্ট পুত্রাজায়ায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। তাদের আলোচনায় প্রাধান্য পাবে অভিবাসন ইস্যু। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, এই সফরের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতর করতে চাচ্ছি। সফরের মূল ফোকাস অভিবাসন নিয়ে আলাপ, দ্বিতীয় ফোকাস হচ্ছে বিনিয়োগ।