Image description

বাংলাদেশি যাত্রীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণের সাথে সৌদিয়া ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ১ কোটি ৭৫ লাখেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে। ১ লাখেরও বেশি ফ্লাইটের মাধ্যমে বিশ্বকে সৌদি রাজ্যে নিয়ে আসা। সৌদি আরবের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা সৌদিয়া ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে তাদের কার্যক্রমে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে সর্বশেষ কার্যক্রমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। এ সময়ে বিমান সংস্থাটি ১ কোটি ৭৫ লাখেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ৭.২% বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে লক্ষ লক্ষ যাত্রা এই রুটকে বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধমনীতে পরিণত করেছে। নির্ভরযোগ্য সেবা,  ফ্লাইট বিকল্প এবং হজ, উমরাহ ও প্রবাসী যাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী সেবা প্রদানের কারণে বাংলাদেশি যাত্রীরা ধারাবাহিকভাবে সৌদিয়াকে বেছে নেন। যাত্রীদের এই পছন্দ কেবল সৌদি আরব ও বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে না, বরং সৌদিয়ার চলমান বৈশ্বিক সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

১ লাখেরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে, যেখানে নিয়মিত উভয় ধরনের সেবা অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিমান সংস্থার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক চারটি মহাদেশ জুড়ে রয়েছে, যা ০৪% প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। এই সময়ে সৌদিয়া মোট ২,৯৩,৫০০ এরও বেশি ফ্লাইট ঘণ্টা রেকর্ড করেছে এবং ৮৯.৬% অসাধারণ সময়নিষ্ঠ পারফরম্যান্স বজায় রেখেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৫ সালের মার্চ ও জুন মাসে সময়নিষ্ঠতার ক্ষেত্রে সৌদিয়া বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করে যা বৈশ্বিক বিমান চলাচল বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সিরিয়ামের প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে।
বিশ্বকে রাজ্যে নিয়ে আসার মিশনের অংশ হিসেবে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে সৌদিয়া ৯৬ লাখেরও বেশি আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহন করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫% বৃদ্ধি। এই বৃদ্ধি এসেছে ৪৩,৭০০ এরও বেশি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩% বেশি। দেশীয় ক্ষেত্রে, সৌদিয়া ৭৯ লাখেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে যা ১০% বৃদ্ধি নির্দেশ করে এবং রাজ্যের অভ্যন্তরে ৫৬,৪০০ এরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

 

এই সাফল্যগুলো সৌদিয়ার জাতীয় কর্মীবাহিনীর নিষ্ঠা ও দক্ষতাকে প্রতিফলিত করে, বিশেষত অপারেশন, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণে। মান উন্নয়ন ও কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিমান সংস্থাটি উন্নত ডিজিটাল সিস্টেমে কৌশলগত বিনিয়োগ করেছে, যা যাত্রীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করেছে। এই অঙ্গীকার স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয় সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোতে, যা হজযাত্রী, প্রবাসী এবং নিরবচ্ছিন্ন, কার্যকর ও আরামদায়ক ভ্রমণপ্রত্যাশী যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আকাশপথ হিসেবে কাজ করে।

সৌদিয়ার বর্তমান বহরে ১৪৮টি বিমান রয়েছে, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় নেটওয়ার্কে শক্তিশালী কার্যক্ষমতা বজায় রাখছে। ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় ১১৭টি নতুন বিমান সংযোজনের মাধ্যমে বিমান সংস্থাটি ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি, বিদ্যমান রুটে আসনসংখ্যা বাড়ানো যার মধ্যে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যগুলোও রয়েছে এবং নতুন আন্তর্জাতিক রুট চালুর সক্ষমতা অর্জন করবে। এসব উন্নয়ন পর্যটন, বিনোদন, খেলাধুলা এবং হজ ও উমরাহ সেবা ক্ষেত্রে রাজ্যের জাতীয় অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, একই সঙ্গে ধর্মীয় ভ্রমণ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশে আকাশপথ সংযোগ আরও জোরদার করবে।