
কক্সবাজারের ওসি প্রদীপের ফাঁসির দড়ি ক্রমশই মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসছে। সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদ- কার্যকর হতে কিছু বিচারিক আনুষ্ঠানিকতা বাকি মাত্র। ইউনিফর্ম পরেও কতটা অপরাধী হওয়া সম্ভব- সেই দৃষ্টান্ত দিতেই হয়তো বহুদিন উচ্চারিত হবে ওসি প্রদীপদের নাম। ঘৃণ্য ওসি প্রদীপের জীবন প্রদীপ হয়তো নিভে যাবে তার মৃত্যুদ- কার্যকরের মধ্য দিয়ে। কিন্তু অপরাধ দমনকারী বাহিনীর মধ্যে অপরাধে জড়িয়ে পড়া-প্রবণতার কৃষ্ণ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন তিনি করে গেলেন সেটি কি সহসাই নিভে যাবে ? নাকি তার অপকর্মের মশালটি তিনি তুলে দিয়ে গেছেন ‘যোগ্য অনুসারী’ ওসি আরিফুর রহমানের হাতে ? এমন প্রশ্ন সামনে আসে চট্টগ্রামেরই আরেক আলোচিত ‘লোহাগাড়া থানা’র বেপরোয়া ওসি আরিফুর রহমানের মাদক কারবার দেখে।
গতবছর ৯ সেপ্টেম্বর ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আরিফুর রহমানকে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইন্স থেকে এ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে পোস্টিং দেয়া হয়। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশে তখন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির টালমাটাল অবস্থা। পুলিশের মধ্যে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ট্রমা তখনো কাটেনি। আস্থা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রোষের আগুনে ভষ্মিভূত লোহাগাড়া থানায় পোস্টিং দেয়া হয় আরিফকে। যোগদান করে আপাত: কিছু সাফল্যও দেখান তিনি। কিন্তু ক’টা দিন যেতেই ইউনিফর্মের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে আরিফের প্রকৃত অবয়ব। নেয়া শুরু করেন ভুয়া মামলা। একেকটি মামলায় আসামি দিতে থাকেন শত শত। বাহ্যত: ‘রাজনৈতিক মামলা’ মনে হলেও এর ভেতরেই ছিলো আরিফের আসল বাণিজ্য। নিরীহ মানুষদের ‘সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ’, ‘ বোমা হামলাকারী’ কখনো বা ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আ’লীগ’ ট্যাগ দিয়ে আসামি করতে থাকেন নিরপরাধ মানুষকে। অর্থের বিনিময়ে তাদের গ্রেফতার না করারও অঙ্গিকার করেন। উদ্ধার করেন বেশ কিছু ইয়াবা চালানও। পক্ষান্তরে আরিফের এই ১১ মাসে লোহাগাড়ার তালিকাভুক্ত অপরাধী, সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিরা রয়েছেন সুখনিদ্রায়। কারণ, অপরাধ ও মাদক নির্মূলের পরিবর্তে তিনি নিজেই জড়িয়ে পড়েছেন মাদক কারবারে। ঘুষ, মামলা বাণিজ্য, ইয়াবা কারবারের মাধ্যমে তিনি মাত্র ১১ মাসে হাতিয়ে নিয়েছেন অন্তত: ৮ কোটি টাকা। চাকরিজীবনের দুর্নীতিলব্ধ অর্থে গড়ে তুলেছেন নামে- বেনামে সম্পদের পাহাড়। ওসি প্রদীপের মতো তিনি হয়ে উঠেছেন মাদকের বেপারি। নিজেই লোভের থাবা বসিয়েছেন বড় বড় ইয়াবা চালানে। উদ্ধার হওয়া ‘ইয়াবা বাল্ক’ নামকাওয়াস্তে ‘জব্দ’ দেখাচ্ছেন আদালতে। আর ইয়াবার পুরো চালান গিলে ফেলছেন নিজেই। পক্ষান্তরে মাদকের ভুয়া মামলায় ঢুকিয়ে নরকে পরিণত করছেন বহু নিরীহ তরুণের জীবন। প্রতিবেদকের নিবিড় অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।
এক লাখ ১০ হাজার পিস হয়ে যায় ‘১৫ হাজার’ : ঘটনা গত ২৮ এপ্রিল ভোরের। ‘গোপন সংবাদের ভিত্তি’তে লোহাগাড়া থানায় থাকা কালে এসআই শরীফুল ইসলাম (বিপি-৮৪০৩০৬৪৩৫৭) সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে স্থানীয় কং/১০৭৩ মনছুর আলম,কং/৮৩২ নিলয় তংচংগা এবং কং/আলাউদ্দীনের সহায়তায় গ্রেফতার করেন। এজাহারের তথ্য মতে, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের বিল্লাপাড়াস্থ ইটালি রুফটপ’র সামনে একটি কন্টোইনারবিহীন কাভার্ড ভ্যান (চেসিস নম্বর-গঅঞ৩৯৫০২০ঔ২জ২৮৬০০ এবং ইঞ্জিন নম্বর-ই ৫.৯১৪৫১০৮১গ৬৩৭৫৪২৩৯) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রোডে দাঁড়ানো ছিলো। কন্টেইনারটির চালক ছিলেন মো: দুখু মিয়া। তার কাছ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন তৎকালিস এস.আই. শরীফুল ও কামাল হোসেন (বিপি-৮১০১০৯৭৮১৩)। গ্রেফতার দুখু মিয়ার ওপর নির্যাতন চালিয়ে ইয়াবা কারবারিদের গড ফাদারদের নাম-ঠিকানা নেন আরিফ। তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে তিনি ম্যানেজ হয়ে যান। পরে লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা (নং-৪২) দিয়ে দুখু মিয়াকে কোর্টে চালান করে দেয়া হয়। এজাহারে ‘উদ্ধার’ দেখানো হয় মাত্র ১৫ হাজার পিস ইয়াবা। ওজন ১ কেজি ৪৫০ গ্রাম উল্লেখ করা হয়। যার বাজার মূল্য এজাহারে উল্লেখ করা হয় ৩০ লাখ টাকা। বাকি ৯৫ হাজার পিস ইয়াবা আত্মসাৎ করেন আরিফুর রহমান, এস.আই শরীফুল এবং তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসাইন। বৃহৎ এই ইয়াবা চালানে মো: দুখু মিয়া ওরফে মুন্না ছিলেন ক্যারিয়ার মাত্র। দুুখু মিয়া (৪০) রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ২ নং বেলপুকুরিয়া ইউনিয়নের ক্ষুদ্র জামিরা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতা নজরুল ইসলাম। মাতা-তয়মা বেগম। মামলাটির সাক্ষী মনির আহম্মদ, মো: ফারুক এবং নিলয় তংচংগ্যা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১ লাখ ১০ হাজার পিসের এই ইয়াবা চালানটির গড ফাদার ছিলেন চার জন। এজাহারে তাদের কোনো নামই উল্লেখ করা হয় নি। ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে পুরো মাদক চালানের দায় চাপিয়ে দেয়া হয় ক্যারিয়ার দুখু মিয়ার ওপর।
আত্মসাত ৭৯ হাজার ইয়াবা : গত ২৬ জানুয়ারির আরেকটি ঘটনা। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রোড মাদক আনা- নেয়ার ‘ঝুঁকিমুক্ত রুট’ হিসেবে পরিচিত লোহাগাড়া থানা এলাকা। ঘটনার দিন ভোরে কথিত ‘গোয়েন্দা তথ্য’র ভিত্তিতে টেকনাফ থেকে আগত একটি পার্ল কালারের নিশান এক্সট্রায়াল জীপ ( চেসিস নং- ঐঞ৩২-১৫৪৫৪৯, ইঞ্জিন নম্বর-গজ২০৩৬৭৫৩৯ঈ ) এবং সিলভার কালার এক্স নোয়াহ গাড়ি (নং- ঢাকা মেট্রো:-চ, ১১-৬১০২) আটক করে এসআই শরীফুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন পুলিশের টহল টিম। ঢাকাগামী গাড়ি দু’টি থেকে ১ লাখ ১১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। লোহাগাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার হাশেম পার্কে বিপরীতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দেখানো হয় ‘ঘটনাস্থল’।
আটক করা হয়, হারুন মিয়া, মো: মাহিম, জিয়াবুল হক, নূরুল আমিন, খলিলুর রহমান ও মো: হাকিমউদ্দীন। হারুন কারাংখালি নাছর পাড়ার হোয়াইকং নিবাসী আমির হোসেনের পুত্র। মাহিম ৪ নং পূর্ব পানখালি ওয়ার্ডের হ্নীলা গ্রামের ইছাহাক মিয়ার পুত্র। জিয়াবুল হক হোয়াইক্যং ৫ নং ওয়ার্ডের কানজতর পাড়া গ্রামের আব্দুল দয়ানের পুত্র। নূরুল আমীন পূর্ব পানকালি হ্নীলা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। খলিল টেকনাফ নয়াপাড়া ৫ নং ওয়ার্ডের হোয়াইকং গ্রামের সব্বির আহমদের পুত্র।
ইয়াবার বৃহৎ এই চালানের মূল মালিক হারুন, মাহিম, জিয়াবুল,নূরুল আমীন। কিন্তু লোহাগাড়ার ওসি আরিফুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম তাদের ‘ গ্রেফতার’ দেখান ১৫১ ধারায়। মাত্র ৩২ হাজার ইয়াবা টেবলেট ‘উদ্ধার’ দেখিয়ে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার ইয়াবা চালান আত্মসাৎ করেন আরিফ রহমান ও এসআই শরীফুল। কথিত ওই ‘উদ্ধার অভিযানে’ অংশ নেন কনস্টেবল মনছুর আলম, মো: আলাউদ্দিন ও সোর্স নিলং তংচংগা। আত্মসাৎকৃত ইয়াবার ভাগ পান তারাও। মাত্র ৭ লাখ টাকার নজরানায় চার হোতাকে কোর্টে চালান দিয়ে দেন লঘু ধারায়। ফলে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সহজেই কারামুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন ইয়াবা কারবারিরা। ইয়াবার ক্যারিয়ার হতদরিদ্র হাকিম ও খলিলকে মামলায় {নং-২৮ (২৬২৫)} করা হয় মূল আসামি। এখনো তারা কারাগারে। পরিবার দু’টোর দাবি ওসি আরিফ এবং এসআই শরীফ যে ইয়াবা জব্দ করেন, এ বিষয়ে হাকিম ও খলিল কিছুই জানতেন না। মামলাটির তদন্ত করছেন এসআই শরীফুল ইসলাম।
৩৪ হাজার ইয়াবা ভাগবাটোয়ারা : গত ২২ মে ভোর ৫টার দিকের ঘটনা। স্থান: লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি ইউনিয়নের চুনতিক হাজীর রাস্তায় জেএম সিকদার পাড়াস্থিত ‘লিয়াকত অটোগ্যাস অ্যান্ড ফিলিং স্টেশন’। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি চৌকি বসান ওসি আরিফ। সোর্স নিলংকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চৌকি বসান এসআই শরীফ, কনস্টেবল মনছুর ও আলাউদ্দীন । তারা ২টি মোটর সাইকেল আটক করেন। একটির নম্বর ইঞ্জিন নং-নং-ইএঅ৫-১৪০৬৬৬ । চেসিস নং-জগইখ-ঊউ১৩ঋ-১৩০৪৩৮। আরেকটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন কালো রঙের ইয়ামাহা। ইঞ্জিন নং-এ৩খ৫ঊ০২৩১১২৭। চেসিস নং-চঝ২জএ৬৪১০০অ০৩৯৪৪৯। আরোহী ছিলেন যথাক্রমে: রাশেক শিকদার, ইয়াছিন আরাফাত ও রূহুল আমীন। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় যথাক্রমে ২০ হাজার পিস এবং ৩০ হাজার পিস ইয়াবা। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মোটর সাইকেল ও ইয়াবাসহ নিয়ে যাওয়া হয় লোহাগাড়া থানায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা (নং-৩১) দেয়া হয় মাত্র ৭ হাজার পিস ইয়াবার। ৪৩ হাজার ইয়াবা ভাগ-বাটোয়ারা হয় ওসি আরিফ,এসআই শরীফ এবং সঙ্গীয় কনস্টেবলদের মধ্যে। ইয়াবার পরিমাণ কম দেখিয়ে কোর্টে চালান করা বাবদ তিন ইয়াবা কারবারির কাছ থেকে তারা হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের ঘুষ।
পাঁচ হাজার উদ্ধার : ৫শ’ দেখিয়ে আসামি চালান : ৩০ এপ্রিল রাত ৯টা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ‘বিশেষ অভিযান’ অংশ হিসেবে তল্লাশি চালায় লোহাগাড়া থানা পুলিশ। এসআই শরীফের নেতৃত্বে পরিচালিত তল্লাশিতে অন্তত: ৬ হাজার ইয়াবাসহ বিপুল মাদক দ্রব্য আটক করা হয়। এর মধ্য থেকে ২ হাজার ‘জব্দ’ দেখিয়ে আত্মসাত করা হয় ৪ হাজার ইয়াবা । পরবর্তীতে সেগুলো বিক্রি করে দেন শরীফুলসহ ৬ পুলিশ সদস্য। ঘটনার দিন রাতে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে শরীফুলসহ ৬ পুলিশ সদস্য ৫ হাজার পিস ইয়াবা আটক করে। গ্রেফতার করা হয় দীল মোহাম্মদকে। তাকে হাতকড়া পরিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। ঘন্টাখানেক পর সাদাপোশাকধারী এক ব্যক্তি এসে জব্দকৃত ইয়াবাগুলো নিয়ে যায়। অন দ্য স্পট ৬ লাখ টাকায় সাড়ে ৪ হাজার ইয়াবা বিক্রির দরদাম শুনতে পান দীল মোহাম্মদ।
গত ১১ জুন আলী কদম বাস টার্মিনালে বসে দেয়া আসামি দীল মোহাম্মদের দেয়া এমন একটি জবানবন্দীর ডিভিও এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। দীল মোহাম্মদের ভাষ্যে কারা কিভাবে ইয়াবা ব্যবসা করছেন, পুলিশের কে কে জড়িত, কারা এখান থেকে নিয়মিত মাসোহারা পাচ্ছেন সেই তথ্য উঠে আসে। দীল মোহাম্মদ বলেন, ৬ লাখ টাকা দিয়ে ইয়াবাগুলো নিয়ে মোটরসাইকেল করে চলে যেতে দেখি ঐসময় সাদা পোশাকে আসা লোকটিকে। পরে রাত আড়াই টায় আমাকে থানায় নিয়ে যায় লোহাগাড়া থানার তৎকালিন এসআই শরীফুলসহ পুলিশ সদস্যরা। পরদিন লোহাগড়া থানা পুলিশ আমাকে ৫শ’ পিস ইয়াবা দিয়ে কোর্টে চালান করে। পুলিশের ওই তল্লাশি অভিযানে নেতৃত্ব দেন লোহাগাড়ার ওসি আরিফুর রহমান। সঙ্গে ছিলেন এস.আই. শরীফুল ইসলাম, কনস্টেবল মনছুর আলম (নং-৭৯১), কনস্টেবল (নং-৮৩২) নিলয় তনচংগ্যা, কনস্টেবল (নং-৭৯১) মো: আলাউদ্দিন ও কনস্টেবল (নং-৬৫৬) মোহাম্মদ ইরফান।
শুধু দীল মোহাম্মদই এমন অভিযোগ তোলেন নি। লোহাগাড়া থানা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জা-আইল্লা ঢালা নামক স্থানে প্রায় প্রতিদিন একটি স্থায়ী তল্লাশি চৌকি বসিয়ে রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ, লামা ও আলীকদম থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়। এসব তল্লাশিতে প্রায় সময়ই বিপুল পরিমাণ মাদক ও নিষিদ্ধ দ্রব্য আটক করা হয়। কিন্তু এসব মাদকের অধিকাংশ জব্দ তালিকায় দেখানো হয় না। নামকাওয়াস্তে ‘জব্দ’ দেখিয়ে জায়েজ করেন নিজেদের ইয়াবা কারবার।
লোহাগাড়া থানা পুলিশের নিজেই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয় চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মোহাম্মদ আহসান হাবীব পলাশের সঙ্গে। একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন দেননি। এসএমএস পাঠিয়েও মেলেনি কোনো সাড়া।
পরে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার মো: সাইফুল ইসলাম সানতু’র সঙ্গে। বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ফোন করা হলে ফোনটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।
লোহাগাড়া থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) আরিফুর রহমান টেলিফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, এখানে বাদী যেভাবে মামলা করেছেন, মামলায় যতগুলো ইয়াবার সংখ্যাই উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।