
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৫ অথবা ৮ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করতে পারেন।
একাধিক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ভাষণের দিন-তারিখ ও সময় এখনো চূড়ান্ত না হলেও এই দুইটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখের একটির সঙ্গেই ভাষণটি মিলিয়ে দেওয়া হতে পারে। ৫ আগস্ট হলো সেই দিন, যেদিন ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। অন্যদিকে ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
সরকারি এক কর্মকর্তা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের তারিখকে বেশি গুরুত্ব দিতে আগ্রহী নন প্রধান উপদেষ্টা। সে কারণে ভাষণ ৫ আগস্টই দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এদিকে গতকাল শনিবার সরকার ঘোষণা করেছে, ওইদিন বিকেল ৫টায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ জনসমক্ষে উপস্থাপন করা হবে।
নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার পর প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে তপশিল ঘোষণার জন্য আহ্বান জানাবেন বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
এর আগে গত ২৬ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় শিগগিরই জানানো হবে। বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে তিনি নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করবেন।’
তবে এর আগেই নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছেন ড. ইউনূস। গত ৯ জুলাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। নির্বাচন হতে পারে ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে।
তারও আগে, গত ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, নির্বাচন ২০২৬ সালের রমজানের আগেই হবে। ফলে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা প্রবল।