
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ও লেখক ফাইজ তাইয়েব আহমেদ বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয়, আন্তঃপ্রকল্প সমন্বয় এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অত্যন্ত যৌক্তিক কারিগরি সক্ষমতা তৈরি করতে গিয়ে আমি টেলিকম মাফিয়াদের রোষানলে পড়েছি।’
রবিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নিজ অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাঠকদের জন্য ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ফেসবুক পোস্টটি তুলে ধরা হল:
রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয়, আন্তঃপ্রকল্প সমন্বয় এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অত্যন্ত যৌক্তিক কারিগরি সক্ষমতা তৈরি করতে গিয়ে আমি টেলিকম মাফিয়াদের রোষানলে পড়েছি।
আমি দস্যুচক্রের কবলে। মাফিয়া সিন্ডিকেটগুলোর মূল চরিত্র এটাই যে, আপনি সৎ থাকবেন মাফিয়া স্বার্থে আঘাত হানবেন, তখন সব হায়েনারা আপনাকে ঘিরে ধরবে।
রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয়, আন্তঃপ্রকল্প সমন্বয় এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অত্যন্ত যৌক্তিক কারিগরি সক্ষমতা তৈরি করতে গিয়ে আমি টেলিকম মাফিয়াদের রোষানলে পড়েছি।
আমি দস্যুচক্রের কবলে। মাফিয়া সিন্ডিকেটগুলোর মূল চরিত্র এটাই যে, আপনি সৎ থাকবেন মাফিয়া স্বার্থে আঘাত হানবেন, তখন সব হায়েনারা আপনাকে ঘিরে ধরবে।
আমি রাষ্ট্রের কয় টাকা চুরি করেছি? কীভাবে দুর্নীতি করেছি? তার তথ্য উপাত্ত উপস্থাপনের মুরদ দেখাতে পারে না, সাংবাদিকতার নামে করেছে চরিত্র হনন, ব্যক্তিগত আক্রমণ, কার্টুন। শিরোনাম থেকে শুরু করে সাব-টাইটেল এবং কন্টেন্ট সর্বত্র। নেই কোন তথ্য উপাত্ত, নেই দেশের শীর্ষ ২ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেয়া রিপোর্টের উল্লেখ।
একই মালিক-প্রকাশকের দুই পত্রিকায় একসাথে একই দিনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সিন্ডিকেটেড আক্রমণ করেছে তারা, বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে এমন কো-ওর্ডিনেটেড প্রোপাগান্ডা আগে কখনও হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
কারণ! ভেতর ও বাইরের মাফিয়া টেন্ডারবাজদের স্বার্থ। একটিবারও উল্লেখ করেনি কীভাবে সাবেক সরকারের মন্ত্রী ৯০ কোটি টাকা বেশি ব্যাবধানের ২য় দরদাতাকে কাজ পাইয়ে দিতে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রভাবিত করেছে, জালিয়াতি করেছে। সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, সাবেক টেলিকম মন্ত্রী জব্বারের পছন্দের কোম্পানি কাজ না পেয়ে এই ঝামেলা শুরু করিয়েছে। জব্বারের পছন্দের লোকেরা আমাকে ক্রমাগত আক্রমণ করছে।
আমি পিছু হটবো না। আমাকে ভয় দেখিয়ে থামিয়ে দেয়া যাবে না। যেহেতু কোন দুর্নীতি অনিয়ম করিনি, পদ্ধতিগত কোন ভায়োলেশন করিনি এবং রাষ্ট্রের কোন অর্থ চুরি করিনি তাই ‘ভয়’ আমি পাই না!
আমি বিন্দু পরিমাণ পাওয়ার এবিউজ করিনি, যা করেছি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে করেছি। একক কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। সরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগীতায় টিকিয়ে রাখতে, অন্তত শত কোটি টাকার অর্থ সাশ্রয় করতে এবং সংশ্লিষ্ট অপর প্রকল্প গুলোকে প্রাসঙ্গিক রাখতে যেখানে ৩০০ কোটির বেশি অর্থ আগেই ব্যয় হয়ে গিয়েছে।
আমি ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে ফাইট করা লোক। প্রয়োজনে মহামান্য আদালতের কাছে যাব, টেলিকম ও আইসিটি সেক্টরের মাফিয়া সিন্ডিকেটের কবর দিব! লড়াই চলবে। হাই মোরাল নিয়েই লড়বো! ইনশাল্লাহ।