Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সব কক্ষের নামকরণ করা হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদদের নামে। জুলাই শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। আজ সোমবার (২৮ জুলাই) এ কর্মসূচি শুরু করা হয়।

জানা গেছে, হলটির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোঃ নাঈমুল আবরার, আসিফ ইমাম এবং ফুজায়েল আহমেদের নেতৃত্বে উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়। তাদের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মাহবুব আলম মিরাজ, রুম্মান ইমন, আক্তার হোসেন, শাহেদ ইমন, সাদিক মুনেম, মোল্লা আবিদ হোসেন এবং মোঃ শাকিল মিয়া।

এ প্রসঙ্গে মোঃ নাঈমুল আবরার বলেন, নৈতিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে জুলাই শহিদদের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। এগুলো শুধুমাত্র কিছু নাম নয়। এগুলো ত্যাগ এবং প্রতিরোধের স্মারক, আমাদের ঐক্য ও অনুপ্রেরণার উৎস। এই নামগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ত্যাগ, শৌর্যবীর্য ও আত্মবিসর্জনের এক অনন্য দাস্তান। নতুন একটি ছেলে যখন রুমে উঠবে তখন এই নাম দেখে তার জুলাইয়ের কথা মনে পড়বে। যা জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেই সাথে ভবিষ্যতে নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট, অত্যাচারী হয়ে হলে গণরুম-গেস্টরুম চালু করতে চাইলে শহিদদের নামগুলো তাদের জন্য একটা সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে।

আসিফ ইমাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে সবচেয়ে বড় ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো এসেছে তার মধ্যে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অন্যতম। ৫ আগস্টের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে শিক্ষার্থীরা বৈধ সিটের অধিকার ফিরে পেয়েছে। এখন আর গনরুমে থাকতে হচ্ছে না। গেস্টরুমে নির্যাতনের শিকার হতে হয় না। রাজনৈতিক প্রোগ্রামে বাধ্য কেউ করতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এই অধিকার ফিরে পেয়েছি জুলাই আন্দোলনের শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে।যাদের কারণে আমরা সৈরাচারমুক্ত দেশ পেয়েছি, যাদের কারণে আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি, তাদের সবসময় স্মরণে রাখতে প্রত্যেক রুমে একেকজন শহীদের নামে নামকরণ করেছি। যাতে করে নাম দেখলে আমাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার কারীগরদের প্রতি দোয়া ও কৃতজ্ঞতা আসে।

ফুজায়েল আহমেদ বলেন, আমরা চাই জুলাই সর্বদা আমাদের জনস্মৃতিতে সজাগ থাকুক। তাই আমরা কয়েকজন এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।