Image description
১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনটি সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রতিবারই ৫টি আসনে প্রার্থী ছিলেন। সবগুলো আসনে তিনি জয়লাভ করেছেন। সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবগুলোতে জয়ী হন।

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দলের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি আপসহীন নেত্রী। ১৯৮১ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর আসেন দলের নেতৃত্বে। সেই থেকে দেশের রাজনীতিতে অবিচ্ছেদ্য এক নাম বেগম খালেদা জিয়া। 

দীর্ঘদিন শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। ফলে রাজনীতির মাঠে আগের মতো সরাসরি সক্রিয় নন তিনি। দলীয় কর্মসূচিগুলোতে থাকতে পারছেন না সশরীরে। তবে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও কৌশলগত পরামর্শে পরোক্ষভাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন তিনি। রাজনীতিতে তার ‘নীরবে অন্তরালের কূটনীতি’ এখনও দলের বড় আত্মবিশ্বাসের জায়গা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বয়স্ক ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের অন্যতম খালেদা জিয়া। বয়স ও অসুস্থতার কারণে হয়তো বিএনপির রাজনীতিতে এখন সশরীরে তার সক্রিয় উপস্থিতি নেই। কিন্তু দীর্ঘদিনের নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা এবং কৌশলগত কূটনীতির কারণে এখনও তিনি দেশের রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন। 

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রশ্নে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া  পেয়েছেন আপসহীন তকমা

বিএনপি নেতারা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়া এখন আর ‘অ্যাকটিভ রাজনীতিতে’ নেই। তবে, যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে প্রয়োজন অনুযায়ী তার সঙ্গে পরামর্শ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিত বিরতিতে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং নানা পরামর্শ নেন। দলের কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই তিনি দিকনির্দেশনা নিয়ে থাকেন। তার অভিজ্ঞতা এবং সিদ্ধান্ত এখনও দলের ভেতরে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

২০১৮ সালে ‘মিথ্যা মামলায়’ দণ্ড দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায়। তিনি কারাগারে যাওয়ার পর থেকে উত্তরসূরি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকার অনুমতি দেওয়া হলেও শর্ত অনুযায়ী সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে দলীয় রাজনীতিতে তার উপস্থিতি থেমে যায়নি। 

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে মুক্তি দেন। তারপর থেকে বিভিন্ন সভা-সভাবেশে ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশ্য। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন।

৫ আগস্টের আগে খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, “তখন তো সেই সুযোগ ছিল না। এখন সেই সুযোগ হয়েছে। উনি মাঝে-মাঝে বক্তব্য, ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন। মাঝে-মাঝে কমেন্ট দিচ্ছেন।”   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল পরিচালিত হচ্ছে। তার নেতৃত্বে বিএনপি এখন বেশি সুসংগঠিত। তবে, রাজনৈতিক ও পারিবারিক ইস্যুতে ম্যাডামের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিয়মিত আলাপ-আলোচনা কিংবা পরামর্শ হয়। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির নেতৃত্বের কাঠামোতে খালেদা জিয়ার ‘নীরব উপস্থিতি’ এখনও সবচেয়ে বড় আত্মবিশ্বাসের জায়গা। তিনি দলের নীতিগত ভারসাম্য বজায় রাখছেন। শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় হলেও তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এখনও বিএনপির জন্য গাইডলাইনস্বরূপ। বিশেষ করে বিএনপির সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নেতাদের অনেকেই এখনও তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ওপর আস্থা রাখেন বলেও মনে হয়।

ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া

অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, উনার তো দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, প্রচুর স্যাক্রিফাইস এবং কষ্টও আছে। কাজেই বাংলাদেশ নিয়ে উনার যে উপলব্ধি, অন্যদের সেইভাবে থাকার কথা না। আমি যেটাকে বলি- আন্ডারস্ট্যান্ডিং অব দ্য পলিটিক্স, আন্ডারস্ট্যান্ডিং অব দ্য সিচুয়েশন। সেইদিক থেকে উনি রাজনীতি থেকে দূরে থাকলে কিংবা অসুস্থ থাকলেও খোঁজ-খবর তো রাখেন। পত্র-পত্রিকা ও নিউজ তো দেখেন। দলের এবং অন্যান্য দলের নেতাদের বক্তব্য ও বিবৃতিও খেয়াল করেন। সরকারের কর্মকাণ্ডও খেয়াল করেন।”

মাহবুব উল্লাহ আরও বলেন, “উনার যে স্বাস্থ্যের অবস্থা তাতে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করা তো কঠিন। কাজেই আমি মনে করি, বিএনপির জন্য উনার উপলব্ধি, অভিজ্ঞতা এবং অভিপ্রায় এটাই খুবই মূল্যবান। বিএনপির উচিত তার নির্দেশনা এবং পরামর্শ নিয়ে আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনা করা।”  

চলতি জুলাই মাসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম সামনে এসেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন। সেখানে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশবাসীকে যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

গত প্রায় চার দশক ধরে বাংলাদেশের নির্বাচনে খালেদা জিয়া অন্যতম জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন; যিনি তার রাজনৈতিক জীবনে কখনও নির্বাচনে পরাজিত হননি।

এরপর ১১ জুলাই তিনি ফোন করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জনপ্রিয় লালন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজখবর নেন। সর্বশেষ উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। খালেদা জিয়ার এই বার্তার প্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জানান এবং দলের পক্ষ থেকে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

কূটনৈতিক পর্যায়েও খালেদা জিয়ার সক্রিয়তা দেখা গেছে। ২১ জুলাই গুলশানে তার বাসভবন ফিরোজায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো খারমা হামু দর্জি। এর আগেও তার সঙ্গে যুক্তরাজ্য, নেপাল, পাকিস্তান, চীন ও সৌদি আরবের কূটনীতিকরা সাক্ষাৎ করেন। তার এই কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে কূটনৈতিক সম্পর্কের দিকটিও আলোচনায় আসে। 

বিএনপি নেতারা বলছেন, বিএনপির সরকারের আমলে ম্যাডামের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ভালো সম্পর্ক ছিল। বিশেষ করে সৌদি আরব, চীন, ভুটান ও পাকিস্তানের সম্পর্ক। যদিও ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের সময় ঢাকায় তাইওয়ানের একটি বাণিজ্যিক অফিস খোলা নিয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা খারাপ হয়।

চলতি বছরের মার্চে লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে খালেদা জিয়া

সাম্প্রতিক সময়ে খালেদা জিয়ার সবচেয়ে আলোচিত ‘নীরব কূটনৈতিক তৎপরতা’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যকার অনুষ্ঠিত বৈঠকের পেছনে তার ভূমিকা।

বিএনপি সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ওই সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় ঘোষণার জন্য অব্যাহতভাবে সরকারকে চাপ তৈরি করা হয় দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে। একইসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে দলের নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানো নিয়েও সরকারের সঙ্গে এক ধরনের তিক্ততা তৈরি হয়। এই টানাপোড়েনের মুহূর্তে লন্ডনের সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়া নিয়ে কিছুটা হলেও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তখন খালেদা জিয়া তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও কৌশলী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বৈঠক হওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র উইংয়ের একজন নেতা বলেন, ‘ম্যাডামের রাষ্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে লন্ডনে বৈঠকের পেছনে তার ভূমিকাকে আমি উনার ‘নীরব কূটনীতির‘ অন্যতম উদাহরণ হিসেবে দেখি।

২০১৪ সাল থেকে নির্বাচনের বাইরে রয়েছেন খালেদা জিয়া। ফলে, এখন দেখার বিষয় সম্ভাব্য ২০২৬ সালে এয়োদশ সংসদ নির্বাচন তিনি অংশ নেন কি না। 

এই নেতা আরও বলেন, “গত কোরবানির ঈদে আমরা ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি ড. ইউনূসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে না জড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।”

বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে জানান, ‘সর্বশেষ মাইলস্টোন স্কুলে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এ ছাড়া ২১ জুলাই ম্যাডামের সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো খারমা হামু দর্জি। মাসের শুরুতে ১ জুলাই বিএনপি আয়োজিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতির অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য রাখেন তিনি।’

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডামের সঙ্গে তারা (কূটনীতিকরা) সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। এতোদিন তো তিনি কারারুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন এবং বেশি অসুস্থ ছিলেন। এখন আল্লাহ উনাকে সেই শারীরিক সক্ষমতা দিয়েছেন, অন্ততপক্ষে তিনি লোকজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারছেন। সেই জন্য যারা দেখা করতে চাচ্ছেন তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন।”   

২০১৪ সাল থেকে নির্বাচনের বাইরে রয়েছেন খালেদা জিয়া।

তিনি আরও বলেন, “এসব বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয় না। এতোদিন তাদের সঙ্গে ম্যাডামের দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। আবার বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে এখন অনেকে নতুন এসেছেন। ফলে, এখন তাদের দেখা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে, তাই অনেকে এখন তার সঙ্গে একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন।”

বিএনপির একজন নেতা বলেন, ‘ম্যাডাম উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর রাখছেন নিয়মিত। ফলে, এসব সৌজন্য বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক।’

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, গত প্রায় চার দশক ধরে বাংলাদেশের নির্বাচনে খালেদা জিয়া অন্যতম জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন; যিনি তার রাজনৈতিক জীবনে কখনও নির্বাচনে পরাজিত হননি। ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনটি সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রতিবারই ৫টি আসনে প্রার্থী ছিলেন। সবগুলো আসনে তিনি জয়লাভ করেছেন। সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবগুলোতে জয়ী হন।

বেগম খালেদা জিয়া এখন আর ‘অ্যাকটিভ রাজনীতিতে’ নেই। 

এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি। আর দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি খালেদা জিয়া। আর সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনও বয়কট করে বিএনপি। অর্থাৎ ২০১৪ সাল থেকে নির্বাচনের বাইরে রয়েছেন খালেদা জিয়া। ফলে, এখন দেখার বিষয় সম্ভাব্য ২০২৬ সালে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন তিনি অংশ নেন কি না। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যগতভাবে এখনকার মতো অবস্থায় থাকলেও আগামী নির্বাচনে তার অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের আসন থেকে তিনি অংশ নিতে পারেন। আর এই নির্বাচনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অংশ নেওয়া তো স্বাভাবিক বিষয়। ফলে, এবারই প্রথম জিয়া পরিবার থেকে একাধিক সদস্য নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।

খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম উল্টো প্রশ্ন রাখেন এই বিষয়ে বলার মতো সময় এখন এসেছে কি না।