
গাজীপুরে টঙ্গীতে অভিযানে গিয়ে আসামির বাসা থেকে ব্যাংক চেক বই নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ডিএনসির মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এতে বলা হয়- সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি অনুযায়ী তারা অপরাধ করেছেন।
সাময়িক বরখাস্তরা হলেন- ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের পরিদর্শক শাহরিয়ার শারমিন, উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আল মামুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতাউল হক এবং সিপািই সোহেল রানা।
এ ছাড়া একই অভিযোগে ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সদ্য সাবেক সহকারী পরিচালক (এডি) মারফিয়া আফরোজের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলছে।
জানা যায়, গত ২২ জুন ডিএনসির সহকারী পরিচালক মারফিয়া আফরোজের নেতৃত্বে একটি দল টঙ্গীতে মাদকবিরোধী অভিযানে যায়। টঙ্গী সরকারি কলেজ এলাকা থেকে রমিজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে ইয়াবাসহ আটক করে দলটি। পরে রমিজকে নিয়ে দক্ষিণ খাঁপাড়ায় ৭৩/৪ নম্বর বাড়ির তিনতলায় তার ভাড়া বাসায় যান তারা। এ ঘটনায় পরদিন টঙ্গী পশ্চিম থানায় করা মামলা করা হয়। মারফিয়া ছাড়াও অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন বিভাগীয় পরিদর্শক শাহরিয়ার শারমিন, এসআই আবদুল আল মামুন ও জান্নাতুল ফেরদাউস, এএসআই আতাউল, সিপাই সোহেল, আব্দুর রহমান, সাইমুম হাসান খান ও লুৎফর রহমান।
আভিযানিক দলটির বিরুদ্ধে আসামি রমিজের বাসা থেকে তার সই করা ব্যাংক হিসাবের চেকসহ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই চেক বই মামলার জব্দ তালিকায় না দেখিয়ে তারা নিজেদের হেফাজতে রাখেন। এ অভিযোগ পেয়ে ডিএনসির পরিচালক (অপারেশনস্) বশির আহমেদ ও অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ বদরুদ্দীন তদন্ত শুরু করেন। তারা গত ৮ জুলাই গেণ্ডারিয়ায় মারফিয়া আফরোজের অফিস কক্ষ সিলগালা করে দেন। এছড়া অফিস কক্ষ থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়। ৯ জুলাই মারফিয়া, এসআই জান্নাতুল, এএসআই আতাউল হক ও সিপাই সোহেল রানাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে (স্ট্যান্ড রিলিজ) প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
ডিএনসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ সমকালকে বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় প্রশাসনিক ব্যবস্থার অংশ হিসাবে পাঁচজনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সহকারী পরিচালক মারফিয়া আফরোজের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।