
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ডিজিটাল ভূমি জরিপের নামে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই কর্মকর্তাকে ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো. মহসিন আলী সরদার ও সার্ভেয়ার নজরুল।
আজ বুধবার (২৩ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুপুর থেকে প্রায় ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধের পর পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা।
ঘটনাস্থলে থাকা শাহজালাল নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার জমির কাগজ সম্পূর্ণ ঠিক আছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বসবাস করি। আমার সব ঠিক থাকার পরেও আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ৮০ হাজার টাকা চেয়েছে। পরে বাধ্য হয়ে আমি ৩০ হাজার টাকা দিই তাদের। তারা এখন আরও টাকা দাবি করে।’
আরেক ভুক্তভোগী কামাল মিয়া (৫৮) বলেন, ‘আমার দুটি বাড়ির কাগজ ডিজিটাল সার্ভে করতে তারা ৪০ হাজার করে ৮০ হাজার টাকা চায়। পরে আমাকে বলে ৪০ হাজার টাকা দিলে কাজ হবে। টাকা না দেওয়াতে আমার কাজ হয়নি। তাই আজ আমরা এলাকাবাসী তাদের অবরুদ্ধ করেছি আমাদের কাজ সঠিকভাবে করে দেওয়ার জন্য এবং যাদের থেকে টাকা নিয়েছে, তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য।’
অবরুদ্ধ থাকা সিদ্ধিরগঞ্জের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো. মহসিন আলী সরদার বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নেই নাই। এখানে কারা টাকা নিয়েছে, তা-ও আমার জানা নেই। আমি কাউকে চিনি না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মেহরাব হোসেন প্রভাত বলেন, ‘ডিজিটাল সার্ভের নামে অবৈধ অর্থ লুট করে নিচ্ছে এখানকার সার্ভেয়াররা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকাবাসীসহ আমরা ছাত্র-জনতা অবরুদ্ধ করেছি। এখানে অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী আছে।’
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। অবরুদ্ধ ব্যক্তিদের ও ভুক্তভোগীদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা ঘটনার বিস্তারিত শুনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’