Image description
অনুসন্ধান

গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে রাজধানী ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে সাভারে। পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের গুলিতে সাভার পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পথচারী, দিনমজুর, রিকশাচালক, দোকানি ও শিক্ষার্থী শহীদ হন। ১৮ থেকে ২১শে জুলাই চারদিনে শহরের ৬টি স্থানে স্পেশাল পারপার্স অটোমেটিক শটগান (স্পার্স) দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর অন্তত ২৪ হাজার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছোড়া এসব গুলির অধিকাংশই এইম অন ফায়ার লক্ষ্যবস্তু টার্গেট করে করা হয়। কিছু জায়গায় শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাণঘাতী সাব মেশিনগান এসএমজি রাইফেল ব্যবহারেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাভার থানা পুলিশের করা ১৭টি মামলার এজাহার পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এজাহারে পুলিশের কোন সদস্য কোথায় কতো রাউন্ড গুলি ছুড়েছে তারও তথ্য মিলেছে। ব্যবহৃত অস্ত্রের অধিকাংশই প্রাণনাশক। ২০ থেকে ২৫ মিটারের মধ্যে কারও শরীরে এসব অস্ত্রের গুলি লাগলে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খোদ পুলিশের এক সদস্যই এমন তথ্য দিয়েছেন।  

অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিশেষজ্ঞ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. নাজমুল হুদা মানবজমিনকে বলেন, স্পেশাল পারপার্স অটোমেটিক শটগান (স্পার্স) আন্দোলনে এই অস্ত্রটি ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হয়। এটা নামে শটগান হলেও আদতে প্রাণঘাতী অস্ত্র। কারণ এতে এন্ট্রি বুলেট ব্যবহার করা যায়। মেটাল ফরিং বুলেট, যেটা গাড়ি ছিদ্র্র করে বের হয়ে যাবে। এই বুলেট যদি কারও শরীরে লাগে, তার কী হবে তা সহজেই অনুমেয়। এই অস্ত্র নিয়ে রাবার বুলেট, ছররা গুলিও ছোড়া যায়। এজন্যই এর নাম হয়েছে স্পেশাল পারপার্স অটোমেটিক শটগান। তিনি বলেন, ৭৫ মিটারের মধ্যে কাউকে এসএমজি দিয়ে গুলি করা হলে মৃত্যু নিশ্চিত। 

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৮ই জুলাই বিকালে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে শটগানের গুলিতে শিক্ষার্থী শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন নিহত হন। নিহতের পরে তার বুকে পিঠে অসংখ্য ছররা গুলির ক্ষত দেখা যায়। ২০শে জুলাই সাভার জিকে গার্মেন্টসের সামনে রিকশাচালক রনি প্রমাণিক পুলিশের গুলিতে নিহত হন। গুলি রনির বুকভেদ করে বেরিয়ে যায়। এই দু’জন নয়, চারদিনের আন্দোলনে সাভারে পুলিশের শটগানের গুলিতে আরও ৯ জন মারা যান। ১৯শে জুলাই রেডিও কলোনিতে মো. আলামিন। ২০শে জুলাই জ্বালেশ্বর মহল্লায় শরবত বিক্রেতা শেখ শামীম, সাভার রাজ্জাক কাঁচাবাজারে কুরবান শেখ, আমিন টাওয়ারের সামনে রাজমিস্ত্রি মেহেদী হাসান, বাজার বাসস্ট্যান্ডে শুভশীল মণ্ডল, মাছ বিক্রেতা নবী নূর মোড়ল ও মাদ্রাসাছাত্র সায়াদ মাহমুদ খানও পুলিশের শটগানের গুলিতে নিহত হন। ২১শে জুলাই গুলিতে মারা যান দোকানি ফারুক হোসেন ও বাসের হেলপার মহিবুল হাসান। গুলিতে নিহত প্রত্যেকের চোখে-মুখে, বুকে, পিঠে ও হাতে-পায়ে শতাধিক ভারী সিসা বল কার্তুজ ছররা গুলির ক্ষত পাওয়া যায়। এ ছাড়া চারদিনে শটগানের গুলিতে সাভারে দেড় হাজারের অধিক মানুষ আহত হন। অনেকে গুলিতে চোখও হারিয়েছেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পুলিশের করা ১৭টি মামলায় স্কুল-কলেজের ছাত্র, বিএনপি-জামায়াতের ৯ হাজার ৯০৪ জনকে আসামি করা হয়। ১৮ থেকে ২৯শে জুলাই পর্যন্ত এসব মামলা করা হয়। এ সময় ব্লক রেইড অভিযান চালিয়ে ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে এই মামলা থেকে সবাইকে অব্যাহতি দিয়ে মামলা খারিজ দেখানো হয়।

কে কতো রাউন্ড গুলি ছোড়ে: ১৮ই জুলাই সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ বক্সের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আন্দোলন দমাতে পুলিশ ব্যাপক পরিমাণ গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের যেসব সদস্য শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালান তাদের মধ্যে রয়েছে- এসআই সুদীপ কুমার গোপ ৫৮ রাউন্ড, দিদার হোসেন ৬২ ও মো. হাসান সিকদার ৫৫ রাউন্ড। এ ছাড়া এএসআই আ. মালেক ৬৫, মাসুদ রানা ৫২, মো. আশরাফুল আলম ৬৮ ও সুমন ৫১ রাউন্ড। কনস্টেবল পারভেজ ৬৯, কামরুজ্জামান ৫৭, শাহিন ৬৩, শামীম ৫৪, ফৌরদৌস ৬৬, বোরহান ৫৫, রাসেল ৬৫, সেলিম ৫৬, সোহেল ৬৪, রবিউল ৫৭, মাহফুজ ৬৩, সাদ্দাম ৫৮, মোস্তাফিজ ৬২, আলী আজিম ৫০, মামুন ৭০, নওয়াব ৫৯, রুবেল ৬১ , রাজু ৫৮, আব্দুল হালিম ৬২, আসলাম ৫১, পলাশ ৬৯, কামরুজ্জামন ৬২, কৌশিক ৫৮, নিজাম ৫৩, মজিদা খাতুন ৬৭, শাহাজাদী ৭২, রাসেল ৪৮, তাওসিফ ৫৬, রাশেদ ৬৪, সুজন ৫৫, মিতুল ৬৫, সজীব ৬৮, পলাশ ৫২, রাসেল ৫০, রাবি ৭০, হাসিবুল ৬৩, সোহেল ৫৭, আকাশ ৫৬, আল-আমিন ৬৪, মো. জুয়েল ৫৮, সুজন ৬২, তপু ৫৯, মাহামদুল ৬১, শরিফুল ৬৪, রিফাত ৫৬, অসিম কুমার ৬৬, আহসানুল হুদা ৫৪, জুলহাস ৫৭, বাবুল মোল্লা ৬৩, পারভেজ মুন্না ৫৮, রাব্বি ৬২, অসিত ৫১, জাকির ৬৯, মাহিম রেজা ৭৩, মামুন ৪৭, জিহাদ ৫৩, রাসেল ৬৭, রিমন ৫৮, আনিছ ৬২, সেলিম ৬৬, ফোরকান ৫৪, মো. কামাল ৬৭, রুহুল আমিন ৭৫, আরিফ ৬৬, শেখ সম্রাট ৭২, জাফর ৮০, খাইরুল ৭৬, ইমরান ৭২, প্রান্ত ৭৫, রনি ৭৯, রাজীব ৬৮ ও মান্নান ৭৫ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। ঢাকা জেলা পুলিশ লাইন মিলব্যারাক থেকে আগত এসআই আলীম ৪০ রাউন্ড। এ ছাড়া এএসআই সোহেল ১৬ রাউন্ড, হাবিব ২৫, আরিফ ৪৮, মশিউর ৩৭, মনির ২২, হুমায়ন ২৯, এমদাদুল ৩৭, রফিকুল ৩০, সাখাওয়াত ২৮ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এরা প্রত্যেকে এএসআই। নায়েক শরিফ ১৪ রাউন্ড, আমিনুল ২৮, জাহিদ ২৫, রহি ২৬, ফারুক ৪০, জহির ৩১, শাহ আলম ৪৯ ও নাঈম ২৫ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। কনস্টেবল রিফাত ৩৮ রাউন্ড, তানভীর ৪০, নাজিম ৪৫, ওমর ফারুক ৪৭, কাশেম ২৯, মাসুদ ২৬, জুয়েল ২৯, নাজমুল ৩০, ফারুক ৩৫, মাসুদ ৩২, সালমান ২৬, রাশেদ ৩৪, সুজন ২৪, শাহবুবুল ২০, মরেজ ৩০, আশিক ৩৬, মাসুদ ২৩, কবির ২২, শাহিন ৩৪, সবুজ ৪৩, ইমদাদুল ৩৩, শাহবুদ্দিন ৩৫, আরিফ ৩০, ফারুক ৩৮, হাফিজুল ২০, সোহেল ২৪, রাকিবুল ২৭, সম্রাট ২৩, কায়কোবাদ ৩৫, তানভীর ২৬, আল-আমিন ৩২ ও রাকিব ৩৫ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। 

ভয়ঙ্কর দিন ১৯শে জুলাই: এদিন দুপুরে সাভার থানা স্ট্যান্ডে স্পেশালাইজড হাসপাতালের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের শটগানের গুলিতে শত শত শিক্ষার্থী আহত হন। গুলি চালান এসআই হারুন অর রশিদ ১৭৮ রাউন্ড, মোজাফফর হাওলাদার ১৭৩, রাজীব শিকদার ১৭২, আসওয়াদুর রহমান ১৮৫ ও রাজীব ১৯২ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এ ছাড়া এএসআই সেলিম মিয়া ১৬৫ রাউন্ড, ফয়েজ ১১৯, মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া ১৩১, মিলন মিয়া ১২০, এনায়েত ১২০, জাকির ১৩৯ ও আনোয়ার হোসেন ১৪০ রাউন্ড। এ ছাড়া কনস্টেবল রাসেল ৯১ রাউন্ড, পলাশ ৯৫, দিপু ১০২, মিতুল ১৩২, সোহেল ১২৭, আল-আমিন ১২৯, রকিবুল ১৩৬, আকাশ ১৩১, রুবেল ১৩৫, পারভেজ ১২৯, কামরুজ্জামান ১১১, শাহিন ১০৬, শামীম ৯৪, ফৌরদৌস ৮৭, বোরহান ৭৬, রাসেল ৮৮, সেলিম ৯৬, সোহেল ৮৪, রবিউল ৭৭, মাহফুজ ৮৩, সাদ্দাম ১২৮, মোস্তাফিজ ১৬২, আলী আজিম ১৫০, মামুন ১৩০, নওয়াব ১১৯, রুবেল ১১১, রাজু ১২৮, আব্দুল হালিম ১৪২, আহসানুল ১৩০, জুলহাস ১৪২, অসিম কুমার ১৫২, বাবুল ১৪০, শহিদুল ১০০, আসলাম ৫১, পলাশ ৬৯, কামরুজ্জামান ৬২, কৌশিক ৫৮, নিজাম ৫৩, রাসেল ৪৮, তাওসিফ ৫৬, রাশেদ ৬৪, সুজন ৫৫, রাকিব ৭০, হাসিবুল ৬৩, সোহেল ৫৭, মো. জুয়েল ৫৮, সুজন ৬২, তপু ৫৯, মাহামুদুল ৬১, শরিফুল ৬৪, রিফাত ৫৬, আহসানুল হুদা ৫৪, জুলহাস ৫৭, বাবুল মোল্লা ৬৩, পারভেজ মুন্না ৫৮, রাব্বি ৬২, অসিত ৫১ ও জাকির ৩৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ছাড়া ঢাকা পুলিশ লাইন থেকে এসে- এএসআই নুরুজ্জামান ১১০ রাউন্ড, সালাউদ্দিন ১১৮, সাদিকুল ১১৫, হেলাল উদ্দিন ১২৩, আয়নাল ১৩২ রাউন্ড। এরা প্রত্যেকেই এএসআই। এ ছাড়া কনস্টেবল তাওলিয় ১২৪ রাউন্ড, জাহিদ ১২৯, হানিফ ৮৭, আল-আমিন ৯০, জহির ৮১, শাহআলম ৯৪, শাইন ১০২, মামুন ১০৪, হৃদয় ১২৩, নাজমুল ১৩২, বিশ্বজিত ৯৯, আমিনুল ৮৮, শরিফ ১৩২, মাহাবুব ১২২, মইন ১৩০, মান্নান ৯৪, কালাম ৯৬, ফিরুজ ৯৫, রাকিবুল ১২০, মিজান ১১৩, রনি ১৩১, আহসান ১২৩, জুলহাস ১২৮, সজীব ১২১, মাসুম ১৩০, ওয়াসিম ১২০, মাসুদ ১২৮, নাইদ ১২৩, সুমন ১২৭, পলাশ ১২০, সোলাইমান ১২৫, রাজিব ১২৩, আকাশ ১২৯, মনির ১২১, তরিকুল ১১৮, পলাশ ১২৩, রাকিব ১১৬, রশিদ ১১৬, হানিফ ১২৫ ও হাবিব ১২৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান ৩৯৯ রাউন্ড, শাহ আলম ১২৬, পায়েল ১২২, হৃদয় ১২৫, মামুন ১৩০, নায়েক নুরুল ১১৮ ও সাফায়েত ৯৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ১৯শে জুলাই সাভার সিটি সেন্টারের পেছনে ডিবি অফিসের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

এ সময় ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি’র পুলিশ পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেনের নির্দেশে এসআই সুদীপ কুমার গোপ ৩৮ রাউন্ড, দিদার হোসেন ৩৬ ও মো. হাসান সিকদার ২২ রাউন্ড। এ ছাড়া এএসআই মো. জহিরুল ইসলাম ৫০ রাউন্ড, তানভীর হোসেন পাটওয়ারী ৫০, তাইফুল ইসলাম ৫০, মেহেদী মাসুদ ৫০, অজয় কুমার বিশ্বাস ৫০, মালেক ৩০, মাসুদ রানা ২৯, আশরাফুল আলম ৩৩ ও এএসআই সুমন ২৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ছাড়া কনস্টেবল রেজাউল করিম ২৫ রাউন্ড, মুহাম্মদ অহিদুজ্জামান ২৫, মো. শামীম ২৫, জাহিদুল ইসলাম ২৫, সজল মিয়া ২৫, বাবুল মোল্লা ২৫, হাফিজুর রহমান ২৫, মহসিন ২৫, মাহফুজ মিয়া ২৫, নেওয়াজ হোসেন ২৫, পারভেজ ৪৩, কামরুজ্জামান ৩৬, শাহিন ৪১, শামীম ৩২, ফৌরদৌস ৪৩, বোরহান ৩২, রাসেল ৪৩, সেলিম ৩২, রবিউল ৩৪, মাহফুজ ৪০, সাদ্দাম ৩৫, মোস্তাফিজ ৩৯, আলী আজিম ২৭, মামুন ৫৭, নওয়াব ৩৬, রুবেল ৩৯, রাজু ৩৫, আব্দুল হালিম ৪০, আসলাম ২৭, পলাশ ৪৬, কামরুজ্জামান ৩৯, কৌশিক ৩৫, নিজাম ৩০, মজিদা ৪৪, শাহাজাদী ৫২, রাসেল ২৯, তাওসিফ ৩৩, রাশেদ ৪১, সুজন ৩২, মিতুল ৪২, সজীব ৪৫, পলাশ ২৮, রাসেল ২৭, রাকিব ৪৭, হাসিবুল ৪০, সোহেল ৩৪, আকাশ ৩৩, আল-আমিন ৪১, জুয়েল ৩৫, সুজন ৩৯, তপু ৩৬, মাহামদুল ৩৮, শরিফুল ৪১, রিফাত ৩৩, অসিম কুমার ৪৩, আহসানুল হুদা ৩১, জুলহাস ৩৪, বাবুল মোল্লা ৪০, পারভেজ মুন্না ৩৫, রাব্বি ৩৮, অসিত ২৮, জাকির ৪৬, মাহিম রেজা ৫০, মামুন ২৪, জিহাদ ৩০, রাসেল ৪৪, রিমন ৩৫, আনিছ ৩৯, সেলিম ৪৩, ফোরকান ৩১, কামাল ৪৪, রুহুল আমিন ৫২, আরিফ ৪৬, শেখ সম্রাট ৪৯, জাফর ৫৭, খাইরুল ৫৩, ইমরান ৪৯, প্রান্ত ৩২ রাউন্ড, রনি ৩৬, রাজীব ৪৫ ও মান্নান ৪১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এদিন মিলব্যারাক পুলিশ লাইন থেকে আগত এসআই আলীম ১১০ রাউন্ড। এ ছাড়া এএসআই সোহেল ৮৬ রাউন্ড, হাবিব ৯৫, আরিফ ১১৮, মশিউর ১০৭, মনির ৯২, হুমায়ন ৯৯, এমদাদুল ১০৭, রফিকুল ১০০ ও সাখাওয়াত ৯৮ রাউন্ড। এরা প্রত্যেকে এএসআই। এ ছাড়া নায়েক শরিফ ৮৪ রাউন্ড, আমিনুল ৯৮, জাহিদ ৯৫, রহি ৯৬, ফারুক ১১০, জহির ১০১, শাহ আলম ১১৯ ও নাঈম ৯৫ রাউন্ড। এরা প্রত্যেকে নায়েক। কনস্টেবল রিফাত ১০৮, তানভীর ১১০, নাজিম ১১৫, ওমর ফারুক ১১৭, কাশেম ৯৯, মাসুদ ৯৬, জুয়েল ৯৯, নাজমুল ১০০, ফারুক ১০৫, মাসুদ ১০২, সালমান ৯৬, রাশেদ ১০৪, সুজন ৯৪, শাহবুবুল ৯০, মরেজ ১০০, আশিক ১০৬, মাসুদ ৯৩, কবির ৯২, শাহিন ১০৪, সবুজ ১১৩, ইমদাদুল ১০৩, শাহবুদ্দিন ১০৫, আরিফ ১০০, ফারুক ১০৮, হাফিজুল ৮৯, সোহেল ৯০, রাকিবুল ৯৫, সম্রাট ৯০, কায়কোবাদ ১০৫, তানভীর ৯৬, আল-আমিন ১০২ ও রাকিব ৭৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ছাড়াও ১৯শে জুলাই সাভার উপজেলা কমপ্লেক্সের মূল ফটকের সামনে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ঠেকাতে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বিজিবি সদস্য নায়েক মো. দিদারুল আলম ১৫ রাউন্ড, ল্যান্স নায়েক উজ্জল ৭, ল্যান্স নায়েক সিগনাল মনির ২১, সিপাহী সিগনাল রঞ্জু ৯, সিপাহী সিগনাল মিশুক ৫, সিপাহী সৌরভ ১০ ও নায়েক আ. রাজ্জাক ১৪ রাউন্ড এসএমজি রাইফেল দিয়ে গুলি ছোড়েন। এসব গুলি প্রত্যেকটি প্রাণঘাতী। 

কী ঘটেছিল ২০শে জুলাই: এদিন বিকালে সাভার সিটি সেন্টারের সামনে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের একাধিকবার সংঘর্ষ বাধে। এদিকে, আন্দোলনকারীদের ওপর এসআই হারুন অর রশিদ ৮২ রাউন্ড, কনস্টেবল সোহেল ৬৫ রাউন্ড, রবিউল ৪৭, মাহফুজ ৪২, সাদ্দাম ৪৮, মোস্তাফিজ ৬২, আলী আজিম ৪৬, মামুন ৪৪, নওয়াব ৩৮, রুবেল ৩৯, রাজু ৪৫, আব্দুল হালিম ৪৭, আসলাম ২১ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এ ছাড়াও ২০শে জুলাই দুপুরে সাভার রেডিও কলোনি এলাকায় আন্দোলনকারীদের দমাতে পুলিশ পরিদর্শক রাসেল মোল্লা ৬৫ রাউন্ড, কনস্টেবল রাসেল ৩২ রাউন্ড, পলাশ ২৫, সোহেল ২৭, আল-আমিন ২৯, আকাশ ৩১, রুবেল ৩৫, শাহিন ৩৬, ফৌরদৌস ২৭, বোরহান ৪৬, রাসেল ৭৫ ও  সেলিম ৬৬ রাউন্ড গুলি ছোড়েন।