
১৯ জুলাই শহীদ কামাল মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার মেয়ে সুরাইয়া আক্তার বলেন, “অন্য দলগুলো শুধু বাসায় এসে ফটোসেশন করেছে, কিন্তু বাস্তব সহায়তা নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে শুধু জামায়াতে ইসলামী।”
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমার বাবাকে হারানোর পর অনেকে অনেক কিছু বলেছে। অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বাসায় এসেছেন, আমাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন, মিডিয়ার সামনে বলেছেন আমাদের পড়ালেখার দায়িত্ব নেবেন। কিন্তু বাস্তবে তারা ৫ হাজার টাকা দিয়ে চলে গেছেন। ৫ হাজার টাকায় কি একটা সংসার চলে? কেবল জামায়াতে ইসলাম আমাদের পাশে থেকে ২ লাখ টাকা দিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি তার মা অসুস্থ হলে জামায়াত নেতৃবৃন্দ দেখতে গিয়েছেন, চিকিৎসার খরচ বহন করেছেন এবং সার্বিকভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। “তারা সত্যিকার অর্থে ‘হেল্পিং হ্যান্ড’ হিসেবে আমাদের পাশে আছে,” — বলেন সুরাইয়া।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছেলেকে দেখতে যাওয়ার পথে রাজধানীর শান্তিনগরে পুলিশের ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন জনাব কামাল মিয়া। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহের সন্ধান পান। মৃত্যুর দুই দিন পর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মেয়ে সুরাইয়া বলেন, “প্রথমে আমাদের বাবার লাশ দেখতেও দেওয়া হয়নি। পরে ৫০০ টাকার বিনিময়ে বাবার লাশ দেখতে দেওয়া হয়েছিল।”
বিচার না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করে সুরাইয়া বলেন, “এক বছর হয়ে গেল, এখনো বাবার হত্যার বিচার পাইনি। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনুসের কাছে অনুরোধ করছি — আমাদের দ্রুত বিচার দিন, শহীদ পরিবারগুলোর পূর্ণ পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিন।”