Image description
 

খাগড়াছড়িতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চার ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পক্ষে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়।

 

আটকরা হলো ভাইবোনছড়ার আবদুল আলিমের ছেলে আরমান হোসেন, একই গ্রামের আলমগীরের ছেলে সাকিব আলম, মৃত মোখলেসুর রহমানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও রহুল আমিনের ছেলে এনায়েত হোসেন। তাদের মধ্যে আরমান সদর উপজেলা ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। এনায়েত ও সাকিব সদস্য। সাদ্দাম উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন রথযাত্রা পূজা উৎসব পালন করার জন্য ভাইবোনছড়া বাজার-সংলগ্ন জগন্নাথ মন্দিরে যায় ওই ছাত্রী। পূজা শেষে ভাইবোনছড়া বাজারের পাশে তার দূরসম্পর্কের চাচার ভাড়া বাসায় ওঠে। রাতে আসামিরা সেখানে গিয়ে তাদের জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় ঘটনা প্রকাশ করলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

ধর্ষণের ঘটনায় কোথাও বিচার না পেয়ে ১৯ দিন পর ১৬ জুলাই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী। বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পর তার বাবা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেন। এতে আটক চারজন ছাড়াও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, থানায় দলবদ্ধ ধর্ষণের একটি মামলা হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় ভাইবোনছড়া এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে অপরাধী যেই হোক তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার।