
১৪ জুলাই মধ্যরাত। শেখ হাসিনার বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে নেমে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অভ্যুত্থান মোড় নেয় নতুন রূপে।
দিনভর আন্দোলনের পর সেদিন শিক্ষার্থীরা অনেকটাই ক্লান্ত ছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার বিদ্রূপাত্মক মন্তব্যের পর শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হল থেকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল পর্যন্ত-মেয়েরা নেমে পড়পন রাজপথে। মিছিলের মুহূর্ধ্বনিতে মধ্যরাতেও রাজু ভাস্কর্য হয়ে ওঠে জাগ্রত।
আজ নারীদের সেই শেকল ভাঙার দিনের বর্ষপূর্তি। নারীদের মিছিলকে স্মরণ করে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হচ্ছে জুলাই উইমেনস ডে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো নারী শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে মূল আয়োজন।
এদিনকে স্মরণ করে রাত ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই বিষাদ সিন্ধু নামে ড্রোন-শো আয়োজিত হবে।
এছাড়া নানা আয়োজনে রাঙানো হচ্ছে দিনটি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অনুষ্ঠানে এদিন নারী শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রদর্শিত হয় জুলাই বিষাদ সিন্ধু ড্রোন-শো। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নারীদের অবদান স্মরণ করে মনোমুগ্ধকর ড্রোন-শো প্রদর্শিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক সহস্র নারী শিক্ষার্থী এই শো উপভোগ করেছেন। শো-তে অভ্যুত্থানে নারীদের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা ফওজুল কবির, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক রিফাত রশীদ প্রমুখ।